ঋভু PDF Download শরীফুল হাসান

“ঋভু” বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি শরিফুল হাসানের এক অন্যতম উপন্যাস। বাংলাদেশের অন্যান্য সব লেখকদের মধ্যে শরিফুল হাসান অন্যতম। তার লেখনীতে অনেক ধরনের অ্যাডভেঞ্চার,থ্রিলার ও রোমাঞ্চকর ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। ঋভু ও তার মধ্যে অন্যতম একটি থ্রিলার উপন্যাস। আপনারা যারা এখনো পর্যন্ত এই বইটির হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারেননি তারা এখনই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারবেন।

ঋভু শরিফুল হাসানের একটি অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছেন বাতিঘর প্রকাশনী। 2015 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বইটি প্রথম প্রকাশ হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 240 টি। বর্তমানে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 154 টাকা। বইটি হার্ডকভার এ ছাপা হয়েছে।

ঋভুতে আমরা এমন অনেক জিনিস পাব যা পাঠকদের বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করবে। ঋভু মূলত দেশী পটভূমির ইতিহাস নির্ভর একটি মৌলিক থ্রিলার। লেখক এখানে ইতিহাসের সাথে বিজ্ঞান এবং তার কল্পনাকে চমৎকারভাবে মিশিয়ে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই উপন্যাসের বিষয়বস্তুগুলো এতটাই চমৎকার যা পাঠক কে চৌম্বক শক্তিতে আটকে রাখবে। উপন্যাসের চরিত্রগুলো বেশ আকর্ষণীয়।

কাহিনী সংক্ষেপ

প্রথম গল্পে আমরা দেখতে পাই অর্জুন নামের একজন লোককে। যাকে অ্যাসাইনমেন্টের কাজে ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু সে নিজেও জানে না ঢাকায় তাকে কি করতে হবে এবং তার জন্য কি অপেক্ষা করছে? ওখানে তাকে সাংবাদিক পরিচয়ে পাঠানো হয়। ওখানে যাওয়ার পর তার কাছে পুরো বিষয়টাই খুব জটিল মনে হয়। সে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা লক্ষ্য করে। সে ঠিকঠাক কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত অর্জুনকে পারবে নিজেকে মানিয়ে নিতে? কেনইবা অর্জুনকে ঢাকায় পাঠানো হয়? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই পুরো বইটা পড়তে হবে।

এরপর ইতিহাসের এক বিখ্যাত কাহিনী এই উপন্যাসে লেখক তুলে ধরেছেন। সম্রাট বিন্দুসারের লক্ষ্য ছিল গুপ্ত বিদ্যা শাস্ত্রের উপর। যেটা বিখ্যাত অর্থশাস্ত্রবিদ চাণক্য কে ছিলেন লিখেছিলেন। সে শাস্ত্রটি লুকিয়ে রেখেছিলেন গোপন জায়গায়। যেটা শুধু সম্রাট অশোক জানতেন। পরে সম্রাট অশোক তার নিজের নামে শাস্ত্র টি সবার কাছে প্রকাশ করেন। 23 বছর আগে সম্রাট অশোক যে অতি মানবীয় কাজ করেছিলেন তার প্রতিফলিত রূপ কী আবার পৃথিবী দেখবে? সেই সব প্রশ্নের উত্তর শুধু “ঋভু” উপন্যাসে পাওয়া যাবে।

এই গল্পে অ্যাডভেঞ্চার তুলে ধরেছেন লেখক। সাকিব ও অয়ন দুই বন্ধু। তারা অ্যাডভেঞ্চার এর জন্য পাহাড়ে ঘুরতে গেছেন। অয়ন আগে থেকেই অ্যাডভেঞ্চার অর্থ করতো কিন্তু সাকিব প্রথমবার এসেছে। হঠাৎ করে তারা জীবনের সবচেয়ে বড় অ্যাডভেঞ্চার,যেটা তাদের জন্ম-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের সামনে দাঁড় করেছেন। শেষপর্যন্ত তারা কি ফিরতে পারবে?জানতে হলে বইটা অবশ্যই পড়তে হবে।

এর পরে দুজন বিজ্ঞানীর কথা এখানে লক্ষ্য করা যায়। ড: রামকৃষ্ণ ও ড: লুৎফর রহমান দুজনেই বিখ্যাত বিজ্ঞানী। কিন্তু তারা জীবনে তেমন একটা কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেননি। অনেকদিন পরে তারা নতুন কিছু আবিষ্কারের শেষ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা একটা বিষয়ে খুব চিন্তিত যেটা হলো,তারা যেটি আবিষ্কার করবে সেটা কি মানব জাতির ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে? শেষ পর্যন্ত কি তারা সমাধান বের করতে পারে? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।

সাঈদ পারভেজ নামের একজন ব্যস্ত লোকের কথা এখানে তুলে ধরেছেন লেখক। সে এমন একটা কাজের সাথে যুক্ত যেখানে তার নিজের সময় বলে কিছুই নেই। সে নিজের জন্য কিছু করার সময় পান না। তার জীবন কেমন জানি বোরিং হয়ে যাচ্ছে। সে চাইলে ও পিছু ফিরতে পারবে না‌। সে যে প্রজেক্টটা শুরু করেছে শেষ পর্যন্ত কি সফল হতে পারবে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর পুরো বইটা পড়লে জানা যাবে।

যারা থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস পড়তে অনেক পছন্দ করেন তারা এই বইটি মিস করবেন না। শরিফুল হাসান তার প্লট গুলোকে অনেক সুন্দর ভাবে এখানে তুলে ধরেছেন। তাই আর দেরি না করে বইটি পড়ে ফেলুন। আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।

Link :-1 | Link :-2 | Link :-3

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top