রিরি মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। তিনি ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের কথা চিন্তা করে উপন্যাসগুলো লিখেছেন যেটা পড়ে পাঠকরা তাদের মনের খোরাক যোগাতে পারে বা প্রশান্তি আনতে পারে। লেখক বরাবর তার উপন্যাসগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া দেখিয়েছেন। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “রিরি”অন্যতম।

এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা। এ পর্যন্ত এই লেখকের সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো দেখে বেশি সমাদৃত হয়েছে।

“রিরি” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটির প্রকাশিত হয় অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2020 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 160 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 257 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

লেখক মোস্তাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখে পাঠকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর সাইন্স ফিকশন উপন্যাসের মাধ্যমে। তাঁর রচিত সবগুলো উপন্যাস ছোট থেকে বড় সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তার উপন্যাস গুলো পড়লে জ্ঞান চক্ষু আরো সুদৃঢ় হয়।

মাঝরাতে হঠাৎ সামিনের ঘুম ভেঙে যায়। সে বিস্মিত হয়ে দেখল তার পড়ার টেবিলে রাখা বায়োটিপটা আপনা আপনি চালু হয়ে যাচ্ছে। বায়োটিপটা তার মানে হল আধুনিক কম্পিউটার। সেখান থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে উজ্জ্বল নীল একটা আলো। সামিন বায়োটিপের সামনে আসতে স্ক্রিনে 20,21 বছরের অদ্ভুত সুন্দর একটি মেয়ের অবয়ব ভেসে উঠলো।

সামিন কথা বলতে চাইলে সে জানালো তার নাম রিরি সে গিলিনিহা গ্রহ থেকে এসেছে। পৃথিবী থেকে যুদ্ধবিগ্রহ দূর করে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় ওই মেয়েটি। সামিন কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝে গেল কি অবিশ্বাস্য ক্ষমতার অধিকারী সেই মেয়েটি। সেই মেয়েটি মানুষের মতো সব জায়গায় চলাফেরা করতে পারে না। সে শুধু আলো এবং শব্দের মধ্যে দিয়ে চলতে পারে।

রিরি ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারে এছাড়াও বর্তমান সময়ের পরিবর্তন করে ভবিষ্যতকে নিজের মতো করে সাজাতেও পারে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রিরি সামিনকে তাদের স্পেসশিপে আসার আমন্ত্রণ জানায়। সামিন এই অবিশ্বাস্য কথাটি শুনে সে কিছুটা হতবাক হয়ে যায় এবং শেষে সে রাজি হয়ে যায়। রিরিদের স্পেসশিপে আরো একজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আর তার নাম হলো নোভা। কিশোর সামিন ও কিশোরী নভা দুজনেই ভিনগ্রহের অতি উন্নত প্রাণির স্পেসশিপ ভ্রমণের এক দুর্লভ সুযোগ পেয়ে সত্যিই আনন্দিত।

তাদের এই ভ্রমণের আয়োজন সর্বোচ্চ গোপনীয়তার সাথে করা হয়েছে। তারা দুজন ছাড়া এই ঘটনা আর তৃতীয়জন কেউ জানে না। তারা মনে করে ওখানে গিয়ে তারা অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে এবং ভিন্ন রকমের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সুযোগও শিখতে পারবে। তারা শেষ পর্যন্ত ভিনগ্রহের প্রাণীর স্পেসশিপে যাচ্ছে।

শেষ পর্যন্ত সামিন ও নোভা সত্যিই কী স্পেসশিপে পৌঁছাতে পেরেছিল? কী ঘটেছিল তাদের জীবনের সঙ্গে? তারা রিরির মতো অতি উন্নত প্রাণীর বুদ্ধির সহায়তায় পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল কী? নাকি পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার বদলে তারা হারিয়ে গিয়েছিল রহস্যময় ওই গ্রহে? টানটান উত্তেজনাপূর্ণ উপন্যাসটি যারা এখনো করেননি তারা খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করে ফেলুন। আশা করি অবশ্যই খুব খুব ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top