রোবটের পৃথিবী মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের স্বনামধন্য একজন লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি বরাবর পাঠকদের বোধগম্য উপন্যাস রচনা করেন। তার রচিত সবগুলো উপন্যাস, গল্প সবাই খুব সাদরে গ্রহণ করেছে। তিনি তার লেখায় বরাবর সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করেন। তাঁর উপন্যাসের মধ্যে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। তিনি ছোট থেকে বড় সব বয়সী পাঠকদের জন্য বই রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস এর মধ্যে “রোবটের পৃথিবী” উল্লেখযোগ্য।

মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তাঁর বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। মূলত সেখান থেকেই তার লেখালেখির শুরু হয়। সবদিক দিয়ে মোশতাক আহমেদ কে একজন সফল কবি হিসেবে ধরা যায়। কারণ তাঁর রচিত ভ্রমনকাহিনী,উপন্যাস,প্যারাসাইকোলজিকাল উপন্যাস, গল্প, ভৌতিক কাহিনী, সাইন্স ফিকশন সবগুলো সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেক পাঠকরাই আছে যারা হুমায়ূন আহমেদের পরের স্থানটি তাকে দিয়েছে।

“রোবটের পৃথিবী” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় ও নামকরা সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2020সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 95 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 154 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

“রোবটের পৃথিবী” মোশতাক আহমেদের একটি অন্যতম সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। একে সায়েন্স ফিকশনের সাথে একটা ভালোবাসার উপন্যাস ও বলা যেতে পারে। এই উপন্যাসটি মাধ্যমে লেখক তার কল্পনার মাধ্যমে বাস্তবতার অনেক কথাই দেখিয়েছেন পাঠকদের।

একটি মানুষকে পেয়ে রোবটেরা দারুণভাবে উল্লাসিত হয়ে উঠলো। তারা সে মানুষটাকে নিয়ে যেয়ে কি করবে কিছুই ঠিক করতে পারছিল না। তারা এতটাই আনন্দিত হয়েছে যে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই ঠিক করতে পারছিল না। তারা পরে সিদ্ধান্ত নেয় যে ওই মানুষটিকে কতটা যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করা যায় সেটা নিয়ে তাদের মধ্যে এক প্রকার গন্ডগোল হয়ে যায়। কারণ ওই মানুষটিকে হত্যা করার ক্ষেত্রে অনেক রোবটের অনেক রকমের দ্বিমত লক্ষ্য করা যায়।

অবশেষে একসময় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ওই মানুষটিকে। এখন শুধু নিস্তেজ দেহ টা পড়ে আছে মাটিতে। মানুষটির মৃত্যু নিশ্চিত করতে রোবটেরা শরীর থেকে মাথাটা সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলেছে, একটা পা ও বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে দেহের নিজের অংশ থেকে, পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে নিয়ে এসেছে আর হৃৎপিণ্ড টা শরীর থেকে দুই ফুট দূরে কোথাও ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।

মস্তিষ্কটা পায়ের নিচে ফেলে থেতলে ফেলেছে। এমনকি বিচ্ছিন্ন মাথার চোখ দুটো তুলে নিতেও দ্বিধাবোধ করেননি তারা। সবকিছু মিলিয়ে সত্যি এক বীভৎস দৃশ্য। পৃথিবীতে এখন একটা বিষয় স্পষ্ট মানুষের জন্য রোবটের প্রাণে এতটুকু দয়া,মায়া, শ্রদ্ধা,ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই। কারণ পৃথিবী এখন রোবটের দখলে। মানুষের এই পৃথিবী এখন রোবটের পৃথিবী হয়ে গেছে। তারা এখন নিয়ন্ত্রক এই পৃথিবীর। তারা যখনই পারছে হত্যা করছে মানুষকে। মানুষের উপর প্রতিশোধ নিতেই ব্যস্ত। যে দু একজন বেঁচে আছে তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করতেও সময় লাগবে না তাদের।

শেষ পর্যন্ত পৃথিবী থেকে কী বিলুপ্ত হয়ে যাবে মানুষ জাতিরা? এ প্রশ্নটির উত্তর জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের এই বইটা পড়তে হবে। আশা করি অনেক ভালো লাগবে। কিছুটা সময় আপনি বইয়ের জগতে হারিয়ে যেতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top