রোদনভরা এ বসন্ত PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘ রোদনভরা এ বসন্ত ‘। এটি হুমায়ুন আহমেদের একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। চমৎকার এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে। এই উপন্যাসটির প্রকাশনা করেছে অন্যন্যা প্রকাশনী। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯২ টি। বইটির মুদ্রিত বাংলাদেশী মূল্য ঃ ১৫০ টাকা। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ হচ্ছে ৭.৮৮ এমবি।

হুমায়ুন আহমেদ মানেই অসাধারণ কিছু বইয়ের কারিগর। তাঁর লিখিত প্রতিটি উপন্যাস পাঠকের মন জয় করে নেয়। ‘ রোদনভরা এ বসন্ত ‘ একটি সমকালীন উপন্যাস। এই উপন্যাসটি ট্র্যাজেডি হতে হতে শেষ পর্যন্ত বেশ রোমান্টিকতায় মোড় নেয়। অসাধারণ এই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।

রোদনভরা এ বসন্ত উপন্যাসের মূল কাহিনীঃ

উপন্যাসের কাহিনীর সূচনা হয়েছে মীরু নামের একটি মেয়েকে নিয়ে। মরিয়ম থেকে তার নাম হয়েছে মীরু। তার অবশ্য আরেকটি নাম আছে ঐন্দ্রিলা, সে ঐ নামটাই বেশি পছন্দ করে। মীরুর একরাত ঘুম না হলেই চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। না ঘুমালে চেহারা অন্যরকম হয়ে যায়। তার বিয়ে ঠিক হয়েছে এজন্য বিয়ের রাতে সে ঠিকঠাক ঘুমানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ঘুমের ঔষধ খেয়েও তার ঘুম আসে না। সমস্যা হল বিয়েটার অন্য দশজনের মতো হচ্ছে না।

মীরুর পছন্দের একজন মানুষ আছে তার নাম বারসাত। বারসাতের সাথে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। কারণ বারসাতের সাথে সম্পর্ক কখই মেনে নিবে না তার পরিবার। এছাড়াও মীরুরা ধার্মিক পরিবার, তাদের পরিবারে প্রেম ভালোবাসা নিষেধ আছে। বিশেষ করে মীরুর ফুপু সুলতানা এইসব একদমই পছন্দ করেনা। আবার মীরুর সাথে তার সম্পর্ক খুব ভালো। এর আাগে মীরুর বড়ো বোন রুনি পছন্দ করে একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল। যার ফলে এই বাড়িতে তাদের জায়গা হয়নি।

কাহিনী এগিয়ে যায় পরেরদিন। পরের দিন বারসাত সময়মত কাজী অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরী থাকে। মীরুও যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। কিন্তু ফজরের সময় মীরুর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর তখন বাসায় তারা দুজন আর কাজের ছেলে ছাড়া কেউ ছিল না। তাই মীরুই তার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজী অফিসে বারসাত অপেক্ষা করে মীরুর জন্য। কিন্তু মীরু যেতে পারে না। বারসাত বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করে জ্বরে পড়ে যায়।

অপরদিকে সুলতানা ফুপু তার পছন্দ করা ছেলেকে হাসপাতালে মীরুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ছেলেটির নাম নাসের। প্রথমে মীরুর ছেলেটিকে ভালো না লাগলেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর ভালোই লাগে। যদিও তাদের পরিচয় পর্বটা অন্যরকম ছিল। এরপর মীরু বারসাতকে তার বাবার অসুস্থ হওয়ার কথা জানায়। এ কারণে সে কাজী অফিসে যেতে পারেনি এটাও জানায়।

এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় পরদিন তারা বিয়ে করবে। কাজী অফিসে মীরু গিয়ে দেখে প্রধান কাজী অফিসে ফরিদপুর মেয়ের বাড়ি আর দ্বিতীয় কাজী অন্য জায়গায় বিয়ে পড়াতে গেছে। এরপর তারা ঠিক করা অন্য একদিন কাজী অফিসে যায়। মীরু আগে গিয়ে বারসাতের জন্য অপেক্ষা করে কিন্তু বারসাত আর আসে না।

রোদনভরা এ বসন্ত PDFSet featured image

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top