যে সকল পাঠক মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য রজনী বইটি হবে চমৎকার একটি বই। আপনারা যারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের রজনী বইটি এখনো করেননি তারা অবশ্যই পড়ে নেবে না আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের থেকে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নেওয়ার মাধ্যমে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে রজনী বইটির পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেওয়া আছে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে গেলে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের রজনী বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
রজনী বইটির প্রকাশনা সংস্থার নাম হল অন্যপ্রকাশ। অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে এ বইটি নির্ধারিত মূল্য হল একশত পঞ্চাশ টাকা। সজনী বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা হল ৮০ এবং এটি একটি সমকালীন উপন্যাস। মধ্যবিত্ত পরিবারের টানপোড়েন এবং কিছু খামখেয়ালি চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত হতে চাইলে এই বইটি অবশ্যই আপনারা পাঠ করবেন।
রজনী কাহিনী সংক্ষেপ
এই বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো বীরু। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে। বর্তমানে চাকরির জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। তার বাবা একজন বৃদ্ধ মানুষ হয়েছেন। যৌবনে তার বাবা কবিতা লিখে সময় কাটাতো এবং 13 বছরের এক বালিকার জন্য তার বাবা ঘর ছেড়েছিল। তার বাবা এখন আর সাহিত্যচর্চা না করলেও নিয়মিতভাবে পত্রিকার চিঠিপত্র বিভাগে লিখে থাকেন। তাদের সংসারের অবস্থা একেবারে নাজেহাল।
বীরুর বাবা সব সময় আশায় বসে থাকেন যে তার ছেলের একটি সুন্দর চাকরি হবে। বীরু মাঝে মধ্যে বাড়ি থেকে চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য বের হয় কিন্তু চাকরি দেয়ার জোটে না। তার বাবা ভাবে যে তার চাকরি খুব শীঘ্রই হবে এবং চাকরি পেয়েছে সংসারের হাল ধরবে। তবে সংসারের অবস্থা একেবারে নাজেহাল হওয়ার কারণে সে তার বড় বোন অনুর কাছে যাই। আনুর স্বামী যদিও পাষণ্ড ধরনের মানুষ তার পরেও আনু তার ভাইয়ের মুখের দিকে চেয়ে এবং পরিবারের মুখের দিকে চেয়ে তাকে আর্থিক সাহায্য মাঝেমধ্যেই দিয়ে থাকে।
আমাদের এই কেন্দ্রীয় চরিত্রের একজন ভালোবাসার মানুষ রয়েছে। তার নাম হলো এশা। এশার কাজগুলো খামখেয়ালীপনাতে ভরপুর। কেন্দ্রীয় চরিত্র সব সময় থানা হৃদয়হরনের চেষ্টা করে কিন্তু সে এশাকে ঠিক মত বুঝতে পারে না। শেষমেষ যদি কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাছে তার পেশা ধরা দেয় তাহলে গল্পের শেষটা ভালই হবে। তবে গল্পের মধ্যে যে বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে সেগুলো একজন বেকার যুবকদের কাছে খুবই কষ্টদায়ক।
নিজের চাকরি নেই এবং বন্ধুদেরও চাকরি নাই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা এবং অবসর সময় গুলো কাটিয়ে দেওয়াই তার প্রধান কাজ। তাছাড়া সাংসারিক চাপের পাশাপাশি প্রিয় তোমার মন না পাওয়া এবং বোনের সংসারে অশান্তি করে তাকে সবসময় ভাবাই। আর্থিকভাবে অসচ্ছল একটি পরিবার এর দৈনন্দিন জীবনে চরম কেমন হতে পারে তা জানতে হলে এই বইটি পড়তে হবে। যেহেতু আমাদের দেশের অধিকাংশ পরিবার মধ্যবিত্ত পরিবার, সেহেতু এই বইটি পড়ে হয়তো মনে হতে পারে এটি আপনারই কোনো গল্প।
পিতার কিছু অস্বাভাবিক কাজ কর্ম এবং কাজ না থাকা, কেন্দ্রীয় চরিত্রের বেকারত্ব এবং সাংসারিক চাপ, বড় বোনের সংসারে অশান্তি, প্রিয়তমার মন না পাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো লেখক হুমায়ূন আহমেদ তার কলমের কালির মাধ্যমে সাবলীল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন যারা পড়তে ভালোবাসেন তাদের কাছে অবশ্যই এই বইটি পাঠ যোগ্য একটি বই।