রূপালী দ্বীপ PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

রুপালি দ্বীপ বইটি শুভ্র সিরিজের দারুচিনি দ্বীপের দ্বিতীয় বই। যারা ইতোমধ্যে দারুচিনি দ্বীপ বইটি পড়ে ফেলেছেন তাদের জন্য অন্য রকম চমক অপেক্ষা করছে রুপালি দ্বীপ বইটিতে। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের রুপালি দ্বীপ বইটির পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই বইটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিয়ে পড়ে ফেলতে পারবেন। তাছাড়া শুভ্র সিরিজের অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি আপনি যদি হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর সকল বই এর পিডিএফ ফাইল পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সূচিপত্র দেখুন।

রুপালি দ্বীপ বইটি অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছিল এবং বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা মাত্র 95 টি। সমকালীন এই উপন্যাসটি আপনারা যদি সংগ্রহ করতে চান তাহলে বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হবে 170 টাকা। আর বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করতে পারবেন কোন টাকা-পয়সা খরচ ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

রুপালি দ্বীপ বইটির কাহিনী সংক্ষেপ

মূলত দারুচিনি দ্বীপ বইটির দ্বিতীয় অংশ হলো রুপালি দ্বীপ। ট্রেনে করে ইউনিভার্সিটির সকল বন্ধু যখন কক্সবাজার সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয় তখন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় জরি। সে তার বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছে। এক পর্যায়ে তারা ট্রেনে উঠে পড়ে। তবে বল্টু সবার শেষে আসার কারণে সে ট্রেনের পিছনে পিছনে দৌড়াতে থাকে এবং ট্রেনে উঠে পড়ে। তার সঙ্গে উঠে পড়ে তার প্রেমিকা মুনা।

দুজন মানুষের টিকিট কাটা হয়নি বলে বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হয়ে থাকে। অবশেষে তারা কক্সবাজারে সে পরের দিন সকালে পৌঁছায়। কিন্তু সেখানে ঝামেলা বাদে অন্য একটি বিষয় নিয়ে। জরি মেয়েটির যার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সেই লোক সেখানকার পুলিশকে খবর দিয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে যে জরির বন্ধুরা জড়িয়ে নিয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গেছে।

যেহেতু শুভ্র জরিকে ভালবাসে তাই সেই জরির হবু স্বামীর সঙ্গে কথা বলে। শুভ্র প্রকৃতপক্ষে একটি ভীতু প্রকৃতির ছেলে হলেও সে তার বাবার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। তার বাবার একটি কথা খুব ভালো লেগেছে এবং এই কথাটি শুভ্র জরির হবু-স্বামীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করে।

শুভ্র যদি স্বামীকে হুমকি দেয় যে আপনি যদি এখান থেকে ফিরে না যান তাহলে আপনাকে ঢাকায় সুস্থভাবে ফিরতে দেওয়া হবে না। জরির হবু স্বামী ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাই এবং শুভ্র ইমটিয়াজ উদ্দিনের ছেলে বলেছে সেই স্থান থেকে ভয়ে পালিয়ে যাই। পরবর্তীতে তারা সকলেই দারুচিনি দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও কোনো কোনো বন্ধু যেতে পারে না। যেখানে শুভ্রের খুব সাধ ছিল যে দারুচিনি দ্বীপে গিয়ে জোছনা দেখবে কিন্তু সেই সাত্তার পূরণ হয়নি। তাছাড়া বন্ধু-বান্ধবদের বিভিন্ন খেলায় সেখানে আনন্দ পেতে শুরু করে।

কেউ মিথ্যা কথা বললে তার উপরে ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে এবং সত্যি কথাটা প্রকাশ হয়ে যায়। বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া প্রসঙ্গে এই উপন্যাসটি চমৎকার একটি উপন্যাস। মূলত এই উপন্যাস পর এই কক্সবাজার যাওয়ার পথে এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার প্রতি আমার আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আপনারা যারা ভ্রমণ প্রেমী তারা এই বইটি নির্দ্বিধায় পড়ে ফেলতে পারেন এবং হুমায়ূন আহমেদের লেখার সঙ্গে ভ্রমণ করে আসতে পারেন দারুচিনি দ্বীপে।

রূপালী দ্বীপ PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top