রূপার পালঙ্ক PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

আপনারা যদি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই রূপার পালঙ্ক ও ডাউনলোড করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র দর্শনের যদি নিজের জীবনের দর্শন মিলিয়ে দেখতে চান তাহলে বইটি পড়বেন অবশ্যই। পাঠকের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে বইটির পিডিএফ ফাইল দেওয়া আছে। তাই যেকোনো পাঠক যেকোনো ধরনের বই পেতে আমাদের পেইজে সাইটে সূচিপত্রতে গিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী বিনামূল্যে বই ডাউনলোড করে নিতে পারবে। নিচে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের রূপার পালঙ্ক ও বইটির পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেওয়া হল।
রূপার পালঙ্ক বইটি সমকালীন উপন্যাস এবং কেন্দ্রীয় চরিত্রের মাধ্যমে লেখক জীবন দর্শন এবং জীবনের ধারণা সম্পর্কে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন। রূপার পালঙ্ক বইটির প্রকাশনা সংস্থা হল অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী। এই বইয়ে পৃষ্ঠাসংখ্যা 88 এবং বইটির বর্ধমানের মধ্যে মূল্য দুইশত টাকা। আর যদি সফট কপি বা পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে চান তাহলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই ডাউনলোড করতে পারবেন।
রুপার পালঙ্ক কাহিনী সংক্ষেপ
রূপার পালঙ্ক বলতে এখানে জীবনের আতিশয্য কে বোঝানো হয়েছে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছে মোবারক নামের এক মানুষ। তার বর্তমান বয়স 35 এর কাছাকাছি এবং সে পেশায় একজন শিক্ষক। তার চরিত্রের মাধ্যমে আমরা জীবন দর্শনের ধারণা পাই এবং জীবন কি তা নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারি। আপনি যদি জীবন দর্শন খুঁজে পেতে চান এবং মোবারকের মন-মানসিকতার সঙ্গে নিজেকে মেলাতে চান তাহলে হয়তো মিলে যেতে পারেন আপনি। এমন একটা চমৎকার চরিত্রের রয়েছে রূপার পালঙ্ক বইটিতে।
মোবারকের জীবন দর্শন হলো যে একদিন শিক্ষকতা করবে সে একজন শিক্ষক হিসেবে পরিচিত হবে। সে তার শিক্ষকতা পেশাকে সম্মান করে। মোবারকের বন্ধু রয়েছে। সে তার বন্ধু বজলু এবং সজলকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেয়। তাদের আড্ডা দেয়ার একমাত্র পরিচিত স্থান হল মদিনা রেস্টুরেন্ট। মাঝে মাঝে মোবারকের মনে হয় জীবনটা যদি রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিয়ে কাটানো যেত।
তবে তার ভাবনায় ছেদ পড়ে যখন বাস্তবতা তাকে ঘিরে থাকে। জীবনের নানা প্রয়োজন তাকে কল্পনার জগতে বাস করতে দেয় না এবং বাস্তবতায় তাকে বারেবারে কুরে কুরে খায়। সে যেখানে জীবনে প্রাপ্তির কথা ভাবে এবং সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে সেখানে বাস্তবতা তাকে ঘিরে ধরে চারিদিক থেকে।
জীবনের প্রয়োজনে কোনো মিটানোর জন্য সে তার একটি কিডনি বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে এক ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছে। এধরনের ব্যাক্তিকে কিডনি কেনার জন্য তাকে তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। কিন্তু কিডনি নেওয়ার আগেই সেই ধন্যাঢ্য ভদ্রলোক মারা যান। মোবারকের পরবর্তীতে কিডনি দেওয়া হয়না। কিডনি বিক্রি করে যে তার জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ গুলো পূরণ করবে এবং জীবনের যে সকল চাহিদা রয়েছে সেগুলো পূরণ করবে, এরকম ধরনের ধ্যান-ধারণা আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম হুমায়ূন আহমেদের নাটক নক্ষত্রের রাতে।
মোবারকের গ্রামের তাদের বাড়িতে থাকে দাদি আকলিমা। দাদের জন্য তাকে মাঝে মাঝে খরচ পটাতে হয় এবং দাদির চাহিদা পূরণের জন্য তাকে অনেক কিছু করতে হয়। গ্রামের বাড়িতে দাদিকে দেখাশোনা করে শরুফা নামে একটা মেয়ে। তার দাদির খুবই ইচ্ছা যে এই মেয়েটিকে মোবারক এর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া। তার দাদী চাই এই মেয়েটিকে তার নিজের কাছে রাখতে এবং নাতবউ করে নিতে।
শেষ পর্যন্ত কি মোবারক শরীফাকে বিয়ে করেছিল? তার জীবন দর্শন এবং বাস্তবতা মিলে কি রূপ নিলেও তা জানতে হলে আপনাকে পুরো বইটি পড়তে হবে। বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে নিন এবং আপনার অবসর সময়ে বইটি পড়ে মোবারকের জীবন দর্শন এর পাশাপাশি নিজের জীবন দর্শন কে মিলিয়ে নিন।