সাতকাহন PDF Download সমরেশ মজুমদার

সাতকাহন PDF Download সমরেশ মজুমদার। আপনি কি সমরেশ মজুমদারের লেখা সাতকাহন উপন্যাসটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন? তাহলে এখান থেকে খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সবার আগে লেখক পরিচিতি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

সাতকাহন সমরেশ মজুমদার

সাতকাহনের লেখক সমরেশ মজুমদার। বইটি লেখক এর এক অমর সৃষ্টি। সাতকাহনের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে দীপাবলি বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এক শক্তিশালী চরিত্র যা বাঙালি নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে ডুয়ার্সের চা বাগান, জলপাইগুড়ির ,কলকাতা এবং বিভিন্ন জায়গার ঘটনা গুলো ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে।

উপন্যাসটির গল্পগুলোতে আমরা খুঁজে পেয়েছি সেই সময়কার সামাজিক, আর্থ-সামাজিক, কৃত্রিম সংস্কার, পরিশ্রম,স্নেহ-ভালোবাসা ,বন্ধুত্ব ,দুর্নীতি- পরায়ন মানসিকতা এবং পাওয়া না পাওয়ার উপাখ্যান।

সাতকাহন উপন্যাসের কাহিনী সংক্ষেপ

দীপাবলি বন্দ্যোপাধ্যায় বেড়ে উঠে ডুয়ার্সের চা বাগানের অমরনাথ এবং অঞ্জলীর সংসারে।

প্রকৃতপক্ষে দীপাবলি অঞ্জলীর বোনের মেয়ে। জন্মের সময় দীপাবলীর মা মারা যায় এবং দীপাবলীর বাবা দীপাকে অস্বীকার করে। সেজন্য তারা আশ্রয় হয় মাসী মেসোর সংসারে।প্রথমের দিকে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া, মাছ ধরতে যাওয়া, হাতির তাড়া খেয়ে ফিরে আসা এবং ফুল কুড়াতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এক প্রাণচঞ্চল দীপাবলিকে আমরা দেখতে পেয়েছি।

একটু বড় হতে না হতেই দীপাবলি সে প্রাণচঞ্চল শৈশব আর থাকেনা। এক অর্থশালী পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাবে অমরনাথবাবু দীপাবলির বিয়ে ঠিক করেন। বিয়ের দিন রাতেই দীপাবলি গিয়ে আবিষ্কার করে যে তার স্বামী অসুস্থ এবং বংশ রক্ষার তাগিদেই তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে এই অসুস্থ লোকের সঙ্গে।

সেই রাতের এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে দীপাবলি পরের দিন তার নিজের বাড়িতে ফেরত আসে। পরে জানতে পারে তার এক রাতের স্বামী প্রাণ বায়ু ত্যাগ করে পরলোক গমন করেছেন। একদিনের স্বামী হিসেবে সে তখন গ্রহণ করে তার বৈধব্য। সেই দীপাবলিকে আমরা পাইনা যে দীপাবলি আমরা গল্পের প্রথমে পেয়েছিলাম।

শুরু হয় এক নতুন জীবন। বিশু খোকনের সাথে সেই উদ্দাম জীবন নিমিষেই হারিয়ে গিয়ে প্রবেশ করে নতুন এক জীবনে ,যেখানে আছে সংগ্রাম। অমরনাথ বাবু ও সত্য সাধন মাস্টারের সহযোগিতা ও প্রেরণায় দীপাবলি আবার ফিরে যাই স্কুলে।

মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করার কারণে দীপাবলি মাধ্যমিকে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করে। জলপাইগুড়িতে গিয়ে ভর্তি হয় কলেজে। এদিকে অমর নাথ বাবু দীপাবলীর একদিনের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করে তার ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

শ্বশুর বাড়ির লোক যখন মারা যায় তখন দেখা যায় উত্তরাধিকারসূত্রে দীপাবলি সেই বাড়ির একমাত্র মালিক।কিন্তু সেই বাড়ির কোন অর্থ সম্পত্তি গ্রহণ করেনা। বৈধব্যের কষাঘাতে জীবন জর্জরিত হওয়ার জন্য সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছে কারো সাহায্য গ্রহণ না করে।

শশুর বাড়ির সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে অমরনাথ বাবুর পরিবার এবং তার মামার সাথে এ নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এতে করে দীপাবলি আরো একা হয়ে পড়ে এবং শুরু করে তার একাকীত্ব জীবনের পথ চলা।

কলেজ জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, মেয়েদের প্রতি ছেলেদের মনোভাব ,কলেজ রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়গুলো লেখক খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যেন মনে হয় আমরা গত শতাব্দীর 50 শতক এর ভেতর দিয়ে বিচরণ করছি। কলেজ জীবনে এসে আমরা পরিচিত হয়েছি অসীম ,সুদীপ ও মায়ার সাথে। গল্প এগিয়ে যায় গল্পের মত করে আর আমরা তার সঙ্গী হই।

প্রিয় পাঠক উপন্যাসটি পড়ে আপনি দীপাবলি কে নিয়ে ভাবতে শুরু করবেন এবং কিভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাও ভাববেন। কলেজের পাঠ চুকিয়ে দীপাবলি একটি চাকরি জোগাড় করে। রুক্ষ শুষ্ক ও ঊষর প্রান্তের মতএকটা জায়গায় তাকে পোস্টিং করা হয়।

স্থানীয় নেতারঝামেলা সইতে না পেরে সে চাকরির পাঠ চুকাই। চলে আসে শহরে এবং দীর্ঘ তিন চার মাস আই এ এস এর জন্য চেষ্টা করে। একসময় দীপাবলি সফলতা লাভ করে এবং ইন্টারভিউ দিতে আরেক শহরে পাড়ি জমায়। পরিচিত হয় তার জীবন সঙ্গিনীর সাথে এবং চাকরি জীবনে এসে তার সাথেই বিয়ে হয় দীপাবলির।

এত কঠোর পরিশ্রমের পরে বিবাহিত জীবনে এসেও সে তার সংসারে মত বিরোধ দেখতে পাই। চাকরির সূত্রে সে আবার ট্রানস্ফার নিয়ে চলে আসে জলপাইগুড়িতে। এখানে উঠে আসেন তার ঠাকুমা মনোরোমা। ঠাকুমার সাথে বাস করতে থাকেন দীপাবলি।প্রিয় পাঠক আপনাদের মনে কি আকাঙ্ক্ষা জাগেনি দীপাবলীর শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল।

একটু সুখের নাগাল পেয়েছিল কিনা জানতে হলে পড়তে হবে পুরো উপন্যাস টি। এ উপন্যাসটি আপনাকে ভাবাবে, আপনাকে নিয়ে যাবে একটি মেয়ের সংগ্রামী জীবনে।


‌উপন্যাসটি আপনি বিশ্লেষণ করে দেখতে পাবেন একটি মেয়ের জীবনের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার উপাখ্যানের একটি পূর্ণাঙ্গ সাতকাহন। সাহিত্যের জগতে এক অনন্য সৃষ্টি সাতকাহন। মেয়ে পাঠকদের জন্য দীপাবলি একটি অনুসরণীয় চরিত্র। প্রত্যেকটি সাহিত্য পিপাসু পাঠকদের জন্য এটি অবশ্যই পড়া উচিত। হ্যাপি রিডিং, পৃথিবী হোক বইয়ের।

সাতকাহন উপন্যাস পিডিএফ ডাউনলোড

আপনি খুব সহজেই সাতকাহন উপন্যাসটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য নিচের প্রদত্ত লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।

আপনি কি জানেন কিভাবে কোন পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে হয়? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের দেখানো পদ্ধতি অবলম্বন করে ডাউনলোড করে নিন।

প্রথমেই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এরপর কোন বই খুঁজছেন তা নির্বাচন করুন।

তারপর বইয়ের কাভার ফটোতে ক্লিক করুন।

কাভার ফটোর নিচে দেওয়া পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার কাঙ্খিত বইটি ডাউনলোড করে নিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top