শয়তান সাধক চিলিকের আত্মা মোশতাক আহমেদ PDF download

মোশতাক আহমেদ বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য নামকরা লেখক। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য ভান্ডার কে অনেকাংশে সমৃদ্ধ করেছে তার সৃজনশীল রচনার দ্বারা। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। তাকে পাঠকরাও এতটাই পছন্দ করেছেন যে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের পরের স্থানটি তাকে দিয়েছে। তিনি একাধারে লেখক ও ডি আই জি। তার অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “শয়তান সাধক চিলিকের আত্মা” অন্যতম।
“শয়তান সাধক চিলিকের আত্মা” মোশতাক আহমেদের একটি অন্যতম অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2013 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। অসাধারণ এই বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা হল 96 টি। বর্তমান বাজারে এই বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 128 টাকা।
চরিত্র:
জমিদার, মাধবী, রেবা, হরি জল্লাদ, হারুন চৌকিদার ও লালু ফকির।
কাহিনী সংক্ষেপ:
সময়টা উনিশ শতকের এর শুরুর দিক। হঠাৎই রাস্তার উপর একটা ক্ষতবিক্ষত যুবকের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে অবাক দৃষ্টিতে। খুব খারাপ অত্যাচার করা হয়েছে যুবকটাকে। ভিড়ের মধ্যে গিয়ে এক বৃদ্ধ লোক জানতে চাই কেউ চিনে কিনা এই যুবককে? তারপর সবাই বলল কেউ চেনেনা। তখন বিধু লোকটি যুবকটিকে চিত করলো এবং তার থেকে জানতে চাইল কি হয়েছে তার?ছেলেটি সব বলার কিছুক্ষণ পর মারা গেল।
ঐ যুবকটি বলেছিল পাশের জঙ্গলে এক শয়তান আছে আর সেই এ কাজ করেছিল। নীলপুর নামে এক গ্রামের জমিদার হল শংকর রায়। তার কাছে খবর আসে পাশের ওই জঙ্গলে হাকিম মাতব্বর নাকি শয়তান বাবা কে দেখেছে। জমিদার হাকিমের কাছ থেকে সেই শয়তানের বর্ণনা জানতে চায়।
অনেকদিন আগে জমিদারের এক জল্লাদকে কবর দেয়া হয়েছিল সেই জঙ্গলের ভিতরে। হাকিম মাতব্বর ঠিক সেখানেই দেখে আসছে সেই শয়তান বাবাকে। সবকিছু শোনার পর জমিদার অনেক কিছুই ভাবতে থাকে। পরের দিন জমিদারের পাইক-পেয়াদারা শয়তান বাবাকে ধরে নিয়ে আসে। সেই শয়তানের বয়স হবে 35 কি 36। সামনের দুটো দাঁত নেই শরীরে কালো কাপড় এবং সেট অনেক জায়গায় ছেঁড়া।
মুখে কাটা দাগ, মুখের পাশ থেকে রক্ত পড়ছে। জমিদার আরো জানতে পারি সেই স্বতন্ত্র নাকি গ্রামের দুটি ছেলে মেয়েকে খুন করেছে। লোকটি বলে সে নাকি শয়তান সাধক চিলিকের আদেশে মানুষ হত্যা করে। তার নাম নাকি সোলায়মান। জমিদার তাকে হত্যার আদেশ দেয়। সে তখন হুংকার ছেড়ে বলে জমিদার যদি তাকে হত্যা করে তাহলে জমিদারের বংশ নির্বংশ হবে।
লোকটি আরো বলে তাকে ছেড়ে দিতে এবং সে অন্য জায়গায় চলে যাবে। জমিদার বলে তার মানে তুই আবার অন্য জায়গায় গিয়ে মানুষ হত্যা করবি? সে বলে হ্যাঁ করব। তারপর হঠাৎ সেই লোকটি এগিয়ে যায় রশীদের কাছে এবং গিয়ে তার হাতে কামড় দেয়। শেষ পর্যন্ত রশিদ মারা যায়।
শেষ পর্যন্ত জমিদার কী বাঁচাতে পেরেছিল তার গ্রামের বাসিন্দাদের কে? সেই শয়তানকে কী তার যোগ্য শাস্তি দিতে পেরেছিল? এই সব কিছু জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের বইটি শেষ করতে হবে। লেখক মোশতাক আহমেদের রচিত ভৌতিক উপন্যাস গুলো এতটাই রহস্য মূলক হয় যেটা পড়তে লাগলে শেষ না করা অব্দি কোন পাঠকই ছাড়তে চাইবে না। তাই আর দেরি না করে অসাধারণ এই বইটি পড়ে ফেলুন।