ইংরেজি সাহিত্যে তথা ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। দুঃসাহসিক ও অ্যাডভেঞ্চারাস উপন্যাসের জনপ্রিয় সব লেখকদের মধ্যে অন্যতম একজন লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। তার লেখায় বরাবর বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। তিনি এমন ভাবে সব কিছু লিখেন যেটার কারনে পাঠকরা খুব সহজেই সেটা বুঝে উঠতে পারে। তাঁর উপন্যাসের ভাষাগুলো সহজ-সরল ও পাঠকদের বোধগম্য। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে যেমন অনেক নাম করেছেন তেমনি বাংলা সাহিত্যেও তার অনুবাদ গ্রন্থ গুলো ঠিক তেমনভাবেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস এর মধ্যে “শী আ্যন্ড আ্যলান” অন্যতম।
হেনরি রাইডার তাঁর উপন্যাসে বেশিরভাগ সময় আফ্রিকা মহাদেশের কথা উল্লেখ করেছেন। যে পাঠকেরা অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন তারা এই লেখকের এর বই পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। তাঁর উপন্যাসে অ্যাডভেঞ্চার এর পাশাপাশি রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসীক অনেক কাহিনী ও বর্ণিত আছে। তিনি তার ভাইয়ের সাথে বাজি ধরে লেখা শুরু করলেও পরবর্তীতে অনেক নাম করেছেন সবার কাছে। তার উপন্যাসগুলো বেশিরভাগ আফ্রিকা মহাদেশ কেন্দ্রিক হয়ে থাকে।
“শী আ্যন্ড আ্যলান”হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর একটি বিখ্যাত থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে সেবা প্রকাশনী। বর্তমান সময়ে বইটির মুদ্রিত মূল্য 131 টাকা। আপনারা যারা বইটি পড়তে চান তাহলে তারা কোন ঝামেলা ছাড়াই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড দিয়ে পড়ে নিতে পারবেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
এই উপন্যাসটির কাহিনীতে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ দেখানো হলেও এটি মূল কাহিনী নয়। এই গল্পের মূল কাহিনী হলো হিন্দি রাইডার হ্যাগার্ড-এর কিংবদন্তি ও দুই মহাসৃষ্টির মুখোমুখি এবং তাদের সংঘাতের কাহিনী। উপন্যাসটি পড়ে পাঠকের অনেক অজানা রহস্য জানতে পারবে। এখানে সংক্ষিপ্ত কাহিনী তুলে ধরব।
আয়েশা বরাবরই ছলনাময়ী নারী। সে তার অনিন্দ্য রুপ ব্যবহার করে অনেক মানুষকে অনেক সময় বশ করেছে। সে অনেকদিন বাঁচবে কারণ জীবনের পেয়ালা থেকে এক চুমুক স্বর্গীয় সুধা পান করেছে। সে যতদিন বাঁচবে, অপার্থিব সুন্দরী হয়ে বেঁচে থাকতে হবে তাকে। কিন্তু তার জীবনে একটি সমস্যা রয়েছে।
আয়েশা ওপরে একটি অভিশাপ আছে। দেবী আইসিস এবং দেবী আফ্রোদিতির মিলিত অভিশাপে সে জর্জরিত। আয়েশার বেঁচে থাকার একমাত্র আশা সেটা হলো তার মৃত প্রেমিক ক্যালিক্রেটিস কবে আবার ফিরে আসবে। আয়েশা বিশ্বাস করে তার প্রেমিক আবার নতুন করে জন্ম নেবে এবং তার সামনে আসবে। তবে একদিন সত্যিই ক্যালিক্রেটিস ফিরে আসে তবে সেটা লেখক অন্যভাবে সবার সামনে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।
এই লেখকের প্রথম বইটাতে বর্ণিত ঘটনার আগে আয়েশার সাথে দেখা হয়েছিল আফ্রিকার কিংবদন্তি শিকারি অ্যালান কোয়াটারমেইন এর সাথে। অ্যালান কোয়াটারমেইন এর উপাধি হলো রাতের অতন্দ্র প্রহরী। তার চোখকে ফাঁকি দিয়ে কোনদিন কোন শিকার পালাতে পারেনি। তার বিচার বুদ্ধি ও দক্ষতার জন্য বারবার প্রাণ বেঁচেছে অনেক মানুষের। থেমেছে অনেক গৃহযুদ্ধ।
এইবার অ্যালান কোয়াটারমেইন এক জাদুকরের চক্রান্তে কি হাজির হয় আয়েশার দেশে। সেই দেশে আয়েশা র রাজত্ব চলছে দুই হাজারের বেশি সময় ধরে। আয়েশা জাদুর দিক দিয়ে অনেক ক্ষমতাবান কিন্তু কিভাবে তিনগুণের বেশি সৈন্যবাহিনী বিরুদ্ধে কীভাবে জিতবে? অ্যালান কোয়াটারমেইন যখন মৃত নগরীর দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয় তখন আয়েশা কী সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে?
আয়েশা শেষ পর্যন্ত তার রূপ দিয়ে কি অ্যালান কোয়াটারমেইন কে মুগ্ধ করতে পারে? সে ক নিজের মোহজালে অ্যালান কোয়াটারমেইন কে জড়াতে পারবে? জানতে হলে এই বইটি পুরোটা পড়ে শেষ করতে হবে। দুঃসাহসীক উপন্যাসের সাথে এটি একটি রোমাঞ্চকর উপন্যাস। তাই আর দেরি না করে পড়ে ফেলুন চমৎকার এই উপন্যাসটি।