শেষ অধ্যায় নেই PDF Download সাদাত হোসাইন

‘শেষ অধ্যায় নেই’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন ‘সাদাত হোসাইন’। যতই দিন যাচ্ছে সাদাত হোসাইনের লেখার হাত আরো পাকাপোক্ত হচ্ছে, তা এই উপন্যাস থেকেই বোঝা যায়। আগের অন্য উপন্যাসগুলোর তুলনায় এই উপন্যাসটিতে লেখকের উপস্থাপনা, লেখার ধরণ আরো অনেক বেশি পরিপক্বতা লাভ করেছে।

সাদাত হোসাইনের বই পড়তে বসলেই এরপরে কী হবে? এই প্রশ্নটি সর্বদাই যেকোন পাঠকের মাঝে জেগে ওঠে। এই বইটিতে সেই বিষয়টি আরো অনেক জোড়ালো। পুরাপুরি থ্রিলার না হলেও, থ্রিলারের থেকে কোন অংশে কম নয় এই বইটি। লেখকের নিজেস্ব একটি ঢং আছে গল্প বলার যা এই উপন্যাসটিতে বর্তমান।

লেখকের অন্যান্য উপন্যাসের মত এই উপন্যাসটিও বেশ দীর্ঘকায়। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালে ‘অন্যধারা প্রকাশনী’ থেকে। উপন্যাসটির মূল পটভূমি রচিত হয়েছে একজন লেখককে কেন্দ্র করে যার নাম হলো শফিক শাহরিয়ার। শফিক শাহরিয়ার সাধারণত একজন থ্রিলার উপন্যাস লেখক।

শফিক সাহেবের পরিবার বলতে রয়েছেন তার স্ত্রী আর একটি মেয়ে। শফিক সাহেবের স্ত্রীর নাম হলো নাজনীন। শফিক সাহেবের পিতৃতুল্য একজন প্রকাশক আছে গল্পে যেনি কিনা শফিকের প্রথম বই প্রকাশ করেছিলেন এবং শফিকের বর্তমান সময়ে খ্যাতিমান হয়ে ওঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

শফিক সাহেবের আবার একজন প্রেমিকাও রয়েছে যার নাম হলো তৃণা। তৃণা একজন অভিনেত্রী। শফিকের এই প্রেমের ঘটনা তার স্ত্রী জেনে ফেললে, বাসায় এক বড় হুলস্থুল কান্ড বেঁধে যায় এবং তার স্ত্রী মেয়েসহ বাসা ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায়।

এসব ঝক্কি-ঝামেলার মধ্যে লেখকের একটি উপন্যাস লেখার কাজ মাঝ পথেই থেমে গেলে, লেখক ভেবে দেখেন গল্পটি শেষ করতে হলে তাকে এসব ঝামেলার মধ্য থেকে বের হয়ে অন্য কোন পরিবেশে যেতে হবে। তাই তিনি সিলেটের শ্রীমঙ্গলে তার বন্ধুর এক চা-বাগানে গিয়ে আশ্রয় নেন।

শ্রীমঙ্গলে গিয়ে লেখালেখির কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন লেখক কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু অপরাধ তার দৃষ্টি গোচর হয়। প্রথমে রহস্যের মত মনে হলেও ধীরে ধীরে লেখক তার এই রহস্যজট খুলে ফেলেন এবং তার সামনে ভয়াবহ এক অপরাধ চিত্র ফুটে ওঠে। এসবের মাঝেই লেখক তার উপন্যাসটি প্রায় শেষ করে ফেললে, শেষের অংশটুকু বাকি রেখে তিনি ভাবেন বাকিটুকু তিনি ফুরফুরে মেজাজে লিখবেন।

তাই তিনি তার স্ত্রী ও কিছু প্রকাশককে সেই চা বাগানে দাওয়াত দেন। কিন্তু যেইদিন সেই দাওয়াত ছিল তার পরের দিন ভোরে শফিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। কে খুন করলো লেখককে! কেনই বা করলো এসব কিছু জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাসটি। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে পদে পদেই মোচড় আসে গল্পে। কিসের পরে কী হবে তা কোনভাবেই পাঠক বুঝতে পারবেন না। সাদাত হোসাইন সুনিপুণ হাতে উপন্যাসটি রচনা করেছেন। উপন্যাসটি যেকোন পাঠককে মনোমুগ্ধ করতে বাধ্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top