শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: হারানো মুকুট PDF Download মোশতাক আহমেদ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি একনামে সবার কাছে পরিচিত। তার লেখার ধরন এতটাই দারুন যে খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের হৃদয়ে পৌঁছে গেছে তার লেখা। তার সুন্দর, সাবলীল ভাষা নির্বাচন ও আকর্ষণীয় প্লট নির্বাচনের জন্য তাঁর উপন্যাস গুলো বেশি সমাদৃত হয়েছে সকলের কাছে। তার সুন্দর উপস্থাপনার কারণেই সে সবার মনে একটা আলাদা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। তার অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: হারানো মুকুট” এক উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।

মোশতাক আহমেদ একজন অসাধারণ লেখক যা কখনোই লিখে বলা সম্ভব না। তাকে তার পাঠকরা এতটাই ভালোবাসেন যে, বাংলাদেশের নামকরা ও জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের পরেই তার জায়গা করে দিয়েছেন। তার বইগুলো পড়লে মনে হয় সেই চিরচেনা হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ছি। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তাঁর লেখালেখির প্রতি আগ্রহ সেই ছোটবেলা থেকে।

“শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: হারানো মুকুট” মোশতাক আহমেদের একটি নামকরা শিশু, কিশোর, রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক, থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2019 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে কথা প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 126 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 150 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই বইটি শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা সিরিজের একটি নামকরা জনপ্রিয় উপন্যাস। এই উপন্যাসটি কিশোরদের জন্য হলেও সববয়সী পাঠকরাই পড়ে আনন্দ নিতে পারবেন। লেখক এমনভাবে এটি সৃষ্টি করেছেন যাতে সব বয়সী মানুষ রায় এটা সাদরে গ্রহণ করতে পারে। আমি এখানে গল্পের সামান্য কিছু তুলে ধরব, বাকিটা করতে গেলে অবশ্যই আপনাদের পুরোটা পড়তে হবে।

শিক্ষা সফর শেষে ময়মনসিংহ থেকে ফিরছিলেন সামিয়া ও তার দাদু হাবিবুর রহমান। তারা ট্রেনে আসছিলেন। ট্রেনে আসার সময় সামিয়ার পরিচয় হয় লেলিনের সাথে। তারা আসার সময় অনেক অজানা গল্প করছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের দুজনের মধ্যে অনেক ভালো ভাব জন্মেছিল।

গল্পে গল্পে জানতে পারে সামিয়ার দাদুর কাছে একটি ঐতিহাসিক ও দুষ্প্রাপ্য একটি মুকুট রয়েছে। কথাপ্রসঙ্গে লেলিন এটাও জানতে পারে যে সামিয়া ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। সেই মুকুট বিক্রি করেই সামিয়ার ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করা হবে। কিন্তু ঘটনাচক্রে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে মুকুটটি হাতছাড়া হয়ে যায়।

সেই মুকুট কে উদ্ধার করার জন্য অভিযানে নেমে পড়ে শিশিলিন এর দুই সদস্য শিশির আর লেলিন। তারা অনেক পরিশ্রম করে সেই প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য সবুর নিয়ার খোঁজ পায়। কীভাবে ধরবে সবুর মিয়াকে? আন্ডারওয়ার্ল্ডের জগত যে কতটা ভয়ংকর হয় সে সম্পর্কে তারা অবগত আছে। অভিযানের দ্বারপ্রান্তে এসে তারা এক ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হয়। তারা আটকা পড়ে সেই আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়ংকর এক অপরাধীর বাড়িতে।

আন্ডারওয়ার্ল্ডের সেই অপরাধীরা সিদ্ধান্ত নেয় শিশির আর লেলিনকে তারা মেরে ফেলবে। তখন শিশির আর লেনিন মুকুট খোঁজার পরিবর্তে তারা তাদের নিজেকে কিভাবে বাঁচাবে সেটা নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত কে বাঁচাবে তাদেরকে? কীভাবেই বা সেই মুকুট রক্ষা করবে? শেষ পর্যন্ত কি শিশির আর লেলিন বেঁচে ফিরতে পেরেছিল? এইসব কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। অসাধারণ, সাসপেন্সিবএই বইটি যারা এখনো পড়েননি তাদেরকে অনুরোধ করব একবার হলে বইটি পড়ে দেখুন, নিরাশ হবেন না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top