সিগমা ফোর্স ৩ ব্ল্যাক অর্ডার PDF Download জেমস রলিন্স

সিগমা ফোর্সের লেখক জেমস রলিন্স এক পরিচিত নাম। বিশেষ করে থ্রিলার আর এডভেঞ্চার প্রেমিরা তাঁকে এক নামে চিনে। মূলত এই ‘সিগমা ফোর্স’ সিরিজটাই তাকে শীর্ষে পৌছেঁছে। তবে এছাড়াও তাঁর অনেক বেস্ট সেলার বই আছে। নিজের নামের আগেও তিনি বেস্ট সেলার লেখক তকমা লাগিয়ে নিতে পেরেছেন!

তো তাঁর আলোচিত এই সিগমা ফোর্স সিরিজের ৩য় বইটি হলো ‘ব্ল্যাক অর্ডার’। বইটি প্রকাশিত হয় রোদেলা প্রকাশনী থেকে। প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার রোলার কোস্টার গতির এই অসাধারণ বইটি এখনো যারা পড়েন নি। কিংবা পড়তে পারেন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে পড়ে ফেলতে পারেন অনায়েসে।

কাহিনী সংক্ষেপ

নিলামে উঠা ‘ডারউইনের বাইবেল’ সম্পর্কে কোপেনহেগেনে খবর নিতে গিয়ে আক্রান্ত হলো সিগমার কমান্ডার গ্রে পিয়ার্স। নেপালের দূর্গম বুদ্ধ সন্ন্যাসীদের মঠে ঘটে যাওয়া এক প্রলয়ের তদন্ত করতে গিয়ে বন্দী হলো ড. লিসা কামিংস ও সিগমা ডিরেক্টর পেইন্টার ক্রো। আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে অদ্ভুত জন্তুর হাতে আক্রান্ত হলো ড. মারশিয়া, কোনোমতে প্রাণে বাচলো জুলু সন্তান খামিশি। মনে হতে পারে বিচ্ছিন্ন ঘটনা সেটাই স্বাভাবিক। বইয়ের প্রায় ১০০ পৃষ্ঠা পর্যন্তও এরকম মনে হতে পারে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে যেগুলোকে বিচ্ছিন্ন মনে আসলেই কি তাই?

কোপেনহেগেনের পুরোনা ডারউইন বাইবেল, নেপালের প্রলয়, আফ্রিকার অদ্ভুত জন্তু সব মিলেমিশে পৌঁছে দিবে সুদূর অতীতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাৎসি জার্মানীদের যুগে।

সিগমা ফোর্স এর বই গুলো বরাবরই আমাকে আকৃষ্ট করে। সিরিজটার যেকটা বই পড়েছি সবই মারাত্মক লেগেছে, বোরিং ফিল করার মতো কোনো অবশনই নেই। উপায়ও নেই! জেমস রলিন্স বইটিতে এক মলাটে যেভাবে বিজ্ঞান, ইতিহাস, অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার ইত্যাদির মিশেল তৈরি করেছে তা প্রকৃতপক্ষে প্রশংসার দাবিদার। অবশ্য তাঁর সব বই-ই প্রশংসা করার মতই!

‘ব্ল্যাক অর্ডার’ আমার পড়া সিগমা ফোর্স সিরিজের তৃতীয় নম্বর বই। অর্থাৎ আমি লেখকের সিগমা ফোর্স সিরিজ দিয়েই শুরু থেকে এগিয়ে গেছি। আগের মতোই বরাবরই দারুণ লেগেছে, তবে সিগমা ফোর্স এর যে বাকি দুইটা বই পড়া হয়েছে তার ভিতরে এই বইটার ভিতরেই যেনো একটু বিজ্ঞানের কচকচানি বেশি ছিলো, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, তরঙ্গ, কণা, এমন অনেক গুলো বিজ্ঞানের মিশ্রন আমার মাথার উপর দিয়ে গেছে, তবে উপভোগ করেছি বেশ। আমি জেমস রলিন্স’কে চিনি। তিনি যে খালি বিজ্ঞানের কচকচানি করেই কাটিয়ে দিবেন তা তো হয় না! বইটায় একসাথে কমান্ডার গ্রে আর ডিরেক্টর ক্রো’কে ফিল্ডে দেখে দারুণ লেগেছে।

প্রথম দিকে আমি অনুবাদের কথা কিছুই বলি নাই। এবার একটু অনুবাদ নিয়ে আলোচনা করা যাক। এই বইটার অনুবাদ করেছেন সাঈম শামস। এটাই আমার পড়া তার অনুবাদের প্রথম বই। তবে অনুবাদক মোটেই কাঁচা নয়! পূর্ব অভিজ্ঞতা অনেক আছে তার। বেশ কয়েকটা সিনেমা নাটকের টাইটেল অনুবাদ তো করেইছেন। সাথে এর আগে আরও তিনটি বইয়ের অনুবাদ করেছেন।

কাজেই বুঝতে পারছেন বেশ ভালো অনুবাদক! এই বইটাও খুব সুন্দর সাবলীল ভাবেই অনিবাদের চেষ্টা করেছেন তিনি। চেষ্টা বলছি কারন, একেবারে প্রথম দিকে কয়েকটা লাইন তিনি একটু গুলিয়ে ফেলেছেন। আমার তাই মনে হয়েছে। কিন্তু কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর আর কোনো সমস্যাই হয়নি। বেয়া স্মুথ ভাবেই পড়া শেষ করতে পেরেছি আমি। বইটা শেষ করেই যে একটা ভালো লাগা কাজ করছিল তা আর কি বলবো!

আর বইয়ের শেষটাও ছিল বলার মতো। কিন্তু তা আমি বলবো না। সবশেষে বলবো দেরি না করে পড়ে ফেলুন জেমস রলিন্সের সেরা সিরিজের এই বইটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top