সিগমা ফোর্স ৪ দ্য জুডাস স্ট্রেইন PDF Download জেমস রলিন্স

সিগমা ফোর্স খ্যত জেমস রলিন্স সম্পর্কে বিস্তারিত বলার কিছু নেই। অসাধারণ এই মানুষ্টা লিখেনও অসাধারণ! আর তাঁর বেস্ট সেলারের তকমা তো আছেই! সিগমা ফোর্স সিরিজের চতুর্থ বই হলো দ্য জুডাস স্ট্রেইন। নামটাই ইন্টারেস্টিং। বইও ইন্টারেস্টিং তাতে কোনো সন্দেহ নাই। প্রার ৪০০ পৃষ্ঠার কাছাকাছি এই বইটা প্রাকাশিত হয় আদী প্রকাশনী থেকে। দুই মলাটের ভিতরে আবদ্ধ এই অসাধারণ বইটি যারা এখনো পড়তে পারেন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল পড়ে ফেলতে পারেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
আচ্ছা একবার ভাবুন তো ফ্রান্স, আপনার দেহে ঢুকে পড়া কোন এক পরজীবি আপনার অজান্তেই শরীরের সব অর্গানকে নিজের কব্জায় নিয়ে নিচ্ছে! নিজের দেহের কোষকেই নিজের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে! জন্ম দিচ্ছে এক আদিম অনুভূতির। ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ক্রিসমাস আইল্যান্ডসহ সংশ্লিষ্ট সাগরে ছড়িয়ে পড়ছে এক অদ্ভুত রোগ। জলজ প্রানীর পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে দ্বীপবাসীরাও। কিছুই বুঝতে পারছে না তারা। কিছু বুঝার আগেই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ সব মানুষগুলো।
এই সবেএ তদন্তের জন্য পাঠানো হলো ডলিসা কমিংস আর মঙ্ক কক্কালিস’কে। কিন্তু তাদের সাথেও ঘটে যায় ভয়াবহ কিছু। কি হয়েছিল তাদের সাথে? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।এদিকে আবার মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার মাধ্যমে সিগমা কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্সের ঘাড়ে চেপে বসল দুর্ধর্ষ গিল্ড এজেন্ট শেইচান।
ধুম ধাড়াকা এন্ট্রির চেয়েও আজিব তার আকুতি। সে চায় গ্রে-কে সাথে নিয়ে আসন্ন দুর্যোগের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে। লে হালুয়া! ডিপজলের একটা মুভির গান আছেনা, “বন্ধু তুমি, শত্রু তুমি, তুমি আমার জান” ওইরকম আর কি অবস্থা। এদিকে গ্রে-র কাঁধে চেপে বসছে বাবা-মার নিরাপত্তার ভয়, সেই সাথে মাথায় ঝুলে আছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
গোটা দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে বিধ্বংসী এক ভাইরাস “দ্য জুডাস স্ট্রেইন”!
এসব সব কিছুরই রহস্যের জড় লুকিয়ে আছে কম্বোডিয়ায় এক ভাঙা মন্দিরের গুহায়। তবে সেই রহস্য উন্মোচন করতে হলে ফিরে যেতে হবে সুদূর অতীতে, ১২৯৫ সালে, বিখ্যাত অভিযাত্রী মার্কো পোলোর সাথে তার ভেনিসে প্রত্যাবর্তনের অভিযানে। সেই রহস্য কি আদেও ভেদ করা সম্ভব হয়?
সিগমা ফোর্স সিরিজের চতুর্থ বই ‘দ্য জুডাস স্ট্রেইন। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত টানটান উত্তেজনার সাথে গতিশীলতা আর রলিন্স সাহেবের বাচনভঙ্গীর ইউনিক স্টাইল তো আছেই। বায়োলজিকাল থিওরি, এক্সপেরিমেন্টাল মেথড, প্রাচীন লিপি, দায়িত্ব, আত্মত্যাগ, বিশ্বাসঘাতকতার ছোঁয়ায় কাহিনী সার্থক। সেই সাথে সিগমার চেনা চরিত্রগুলোর সাথে ফিরে এসেছে চিরশত্রু গিল্ড। সব মিলিয়ে আগাগোড়া অবশ্যই সুখপাঠ্য একটা বই।
এবার আসি অনুবাদ প্রসঙ্গে। ওয়াসি আহমেদ রাফি, আদী প্রকাশনীর নতুন আবিস্কার। এটাই তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ। প্রথম অনুবাদ তাও কি-না আবার জেমস রলিন্স। তাও আবার ছোট খাটো কোনো বই না। বিশাল কলেবরের একটা বই। সত্যি বলতে কি পাঠকদের সন্দিহান হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমিও সন্দেহ করেছিলাম। তবে অনুবাদ সম্পর্কে আমার যে আশঙ্কা ছিল ৫০+ পৃষ্ঠা পড়ার পর তা কেটে গেছে। অবশ্য প্রথম দিকে একটু গোলমাল, এবং গুলিয়ে ফেলেছেন বলে মনে হলেও বাকি পুরো বইয়ে কোনো জায়গাতেই আর কোনো গোলমাল চোখে পড়েনি। ব্যাপার আসলেই ভালো লেগেছে। এর জন্য আদী প্রকাশনীকেও ধন্যবাদ।
সবশেষে আবারও বলবো, দ্বিধা না করে দ্রুত বইটি পড়ে ফেলুন। আশাহত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নাই। ভালো লাগতে বাধ্য!