সুখী বিবাহিত ব্যচেলর PDF Download মৌরি মরিয়ম

‘সুখী বিবাহিত ব্যচেলর’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন ‘মৌরি মরিয়ম’। সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে যে কজন তরুণ লেখক রয়েছেন তার মধ্যে মৌরি মরিয়ম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০১৮ সালে লেখিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই একের পর এক অসাধারণ উপন্যাস পাঠকদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন এই লেখিকা।

সহজ-সরল ভাষার প্রয়োগ, সুনিপুণ হাতে চরিত্রগুলোকে উপস্থাপন, সাদামাটা গল্পের ধরণ লেখিকার উপন্যাসগুলোকে করে তুলেছে সুপাঠ্য। সাধারণত তরুণ- তরুণীদের তথা একবিংশ শতাব্দীর তরুণ-তরুণীদের নিয়ে উপন্যাস রচনা করে থাকলেও সকল স্তরের পাঠকের কাছেই এই লেখিকার উপন্যাসের আবেদন রয়েছে।

তরুণ-তরুণীদের জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ -বেদনা, ভালোবাসা, ভালো লাগা এসব নিয়েই মূলত মরিয়মের উপন্যাসের পটভূমি গড়ে উঠে। সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালে এবং প্রকাশনী সংস্থা হলো ‘ অধ্যয়ন’। ৪৭৮ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটি আকারে দীর্ঘ হলেও পড়ার সময় তা মোটেও বিরক্তির সৃষ্টি করে না।

উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একঝাঁক তরুণ-তরুণীদের নিয়ে। মোহ, দীপ, প্রজ্ঞা, অন্যা, সিধু, জিসান ক আকাশ এই সাতজনকে নিয়েই মূলত উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে। সাতজন হলো বন্ধু, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সকলের সাথে সকলের পরিচয় হয়েছে এবং তখন থেকেই সকলের মধ্যে সখ্যতা।

কিন্তু উপন্যাসটি যে শুধুমাত্র এই সাত জনের বন্ধুত্বের কাহিনী তা নয়। প্রত্যেকটি চরিত্রের আবার রয়েছে আলাদা আলাদা গল্প। প্রজ্ঞা যেমন সকলের অগোচরে ভালোবেসে যায় চারুকলায় অধ্যয়নরত এক সিনিয়রকে। আবার মোহ যে কিনা মা হারা, সে তার সৎ মা ও পরিবারের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে মুক্তির পথ খোঁজে।

প্রত্যেকটি চরিত্রই নিজের নিজের গল্পের দিক থেকে সার্থক এবং সেই সাথে উপন্যাসের সমষ্টিগত দিক থেকেও। প্রত্যেকটি চরিত্রকেই লেখিকা সুনিপুণ দক্ষতার সাথে গড়ে তুলেছেন। উপন্যাসটিতে যে শুধুমাত্র এই কয়েকটি চরিত্র তা নয়৷ গল্পের প্রয়োজনে আরো বেশকিছু চরিত্র মাঝেমধ্যেই গল্পে উঁকি দিয়েছে, যার ফলে উপন্যাসটি হয়ে উঠেছে আরো বেশি বর্ণিল।

উপন্যাসটির আরেকটি বিষয় পাঠকদের চমকে দিতে বাধ্য আর সেটি হলো হঠাৎ করেই দৃশ্যপটেএ পরিবর্তন। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে কখনো মনে হবে যে এটি একটি ভ্রমণ উপন্যাস আবার কখনো বা মনে হবে যেন প্রেমের উপন্যাস। আবার কখনো মনে হয় যেন কোন পারিবারিক কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে উপন্যাসটির গল্প।

যারা এর আগেও মৌরি মরিয়ম এর লেখা পড়েছেন তারা হয়তো বা জানেন, ভাষাগত দিক থেকে তিনি কতটা অসাধারণ। লেখিকার কল্পনা শক্তি অসাধারণ। তিনি যে নিজে শুধুমাত্র কল্পনা করতে পারেন তাই না, পাঠকদের মাঝেও তার কল্পনা ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাই তো উপন্যাসটি পড়তে শুরু করলে দৃশ্যগুলো যেন নিজে থেকেই চোখের সামনে ভাসতে শুরু করে।

এককথায় বলতে গেলে অসাধারণ একটি সমকালীন উপন্যাস এটি৷ যেকোনো পাঠককে নিঃসন্দেহে বিমোহিত করতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top