হুমায়ূন আহমেদ স্যারের জনপ্রিয় একটি বই হল তেঁতুল বনে জোছনা। এই বইটি অনেক পাঠক পড়ে না থাকলেও একটি সংলাপ শুনেছেন নিশ্চয়ই। আপনি যদি এমন করেন তাহলে আপনার খারাপ থাকা মন ভালো হয়ে যাবে। তাই দেরি না করে বইটি অবশ্যই পড়ে ফেলুন। আমাদের ওয়েবসাইটে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের তেতুল বনে জোছনা বইটির পিডিএফ ফাইল সংযুক্ত করা আছে। সেখান থেকে আপনারা সংগ্রহ করে নিন এবং আপনাদের অবসর সময়ে এই বই পড়ে ফেলুন।
তেতুল বনে জোছনা বইটি প্রকাশিত হয়েছে অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 136 টি এবং বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 300 টাকা। সমকালীন এই উপন্যাসটি সকল শ্রেণীর পাঠকের ভালো লাগবে বলে মনে করছি।
তেঁতুল বনে জোছনা কাহিনী সংক্ষেপ
আনিস পেশায় একজন ডাক্তার। ঢাকা শহরের পরিবেশে বসবাস করে সেখানে থেকে ডাক্তারি পাশ করে বিরাট নগর দামে ডাক্তারি করেন তিনি। তারা আচার এবং ব্যবহারে গ্রামের প্রতিটি মানুষ সন্তুষ্ট। তিনি যখন রোগীকে দেখতে যান তখন তার সাইকেলের শব্দ শুনে রোগীর অর্ধেক অশোক পালিয়ে যাই বলে সুখ্যাতি আছে গ্রামে। গ্রামের মানুষের কাছে তিনি একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। ডাক্তার আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। তার স্ত্রী নবনী ঢাকা শহরে বাবার বাড়িতে থাকে। উপন্যাসটিতে নিজের স্ত্রীকে বিরাত্নগর গ্রামে দেখা যায়।
আনিসের বিরাট নগর গ্রামে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের মানুষ তাকে ভক্তি করে এবং শ্রদ্ধা করে। তেমনি একটা মানুষ হলো মতি মিয়া। মতিমিয়া পেশায় একজন চোর এবং আনিসের বিরাট ভক্ত। তবে উপন্যাসের একটি চিত্রে দেখতে পাই যে, সে তার শুভাকাঙ্ক্ষী আনিসের সাইকেল চুরি করছেন। গ্রামের উপর দিয়ে উপন্যাসের শুরুতেই টর্নেডো বয়ে যায়। বিরাট বটগাছটা কোথায় গেল পাশে থাকা ছোট টিনের ঘরটাই কিছুই হয়নি। এই নিয়ে গ্রামের মধ্যে গুজব রটে যায়। যা গ্রামের পরিবেশের কথা প্রতিনিধিত্ব করে।
গ্রামের ইমাম সাহেব হঠাৎ করেই একদিন আত্মহত্যা করেন গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে। তার মেয়ে আকিকা যখন জানতে পারে যে তার বাবা আত্মহত্যার করার পেছনে বিশেষ কারণ রয়েছে তখন তিনি চেয়ারম্যান চাচার কাছে যান। চেয়ারম্যান চাচা তাকে আশ্বস্ত করেন এবং বলেন যে তার বাবার মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উন্মোচন করবেন তিনি।
প্রকৃতপক্ষে চেয়ারম্যানের অপমানের কারণেই এবং লজ্জাহীন কাজ করতে পারার কারণেই ইমাম সাহেব আত্মহত্যা করেন। তৎকালীন সমাজের ক্ষমতাবান লোকজনদের ক্ষমতার অপব্যবহার গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন লেখক। তাছাড়া চেয়ারম্যান সাহেব চান না তার চাইতে কেউ বড় কিছু হোক। তিনি মদ পান করেন এবং আরো খারাপ অভ্যাস আছে যা বইটিতে আমরা দেখতে পাই।
ডাক্তার আর এস এল স্ত্রী আনিসকে ভালোবাসেন। কিন্তু নবনী এই কথা তাকে কখনোই সরাসরি মুখ থেকে বলেন না। নবনী সব সময় তাকে জানিয়েছেন যে ডাক্তার সাহেবের জন্য সে তার চোখের জল আজীবন খরচ করবে। তাই সে ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে আর থাকতে চাই না। এদিকে আনিস বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে যাওয়ার কারণে এই গ্রাম থেকে বিদায় নিতে হবে।
একটা মানুষের গ্রামে আসায় এবং গ্রামের মানুষ গুলোকে ভালোবেসে নিজের করে নেওয়া, তা আমি চরিত্রের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আনিসের স্ত্রী এরকম ধরনের লোকের সাথে কেন থাকছে না তা লেখক রহস্যময়ভাবে বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। পুরো বইটি পড়ুন পিডিএফ ডাউনলোড করে। আশা করি আপনাদের কাছে এই বইটি অবশ্যই অবশ্যই ভালো লাগবে।