থ্রিলার

দ্য ব্ল্যাক একো PDF Download মাইকেল কনেলি

থ্রিলার পড়েন অথচ ‘মাইকেল কনেলি’ নামের মানুষটাকে চিনেন না? তা হতে পারে না। বিশ্ব জুড়েই বিখ্যাত মাইকেল কনেলির বই। কিন্তু এই লেখকের প্রথম বই ‘দ্য ব্ল্যাক একো’ যেন সবথেকে বেশি রমরমা! প্রথম হিসেবে যে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তা আর কোনো লেখকের প্রথম বইয়ে দেখা যায় না। বইটি অনুবাদ করেছেন ‘ইশরাক অর্ণব।’৷ অনুবাদ সম্পর্কে পরে বলছি। সে যাই হোক, বইটা থেকে যারা এখনো বঞ্চিত তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ফাইল পড়ে ফেলতে পারেন অনায়েসে।

কাহিনী সংক্ষেপ

এক টানেলকে এক দল ডাকত ব্ল্যাক একো নামে ডাকে। এখানের গল্পটা শুধু ব্ল্যাক একোকে নিয়ে নয়, এ গল্পের ব্ল্যাক একো কারো না কারো ইতিহাসের একটা অংশ। বর্তমানের রহস্য খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ইতিহাসের সেই অংশ। বর্তমানের ঘটনাপ্রবাহে খুব জোরালোভাবে প্রভাব ফেলে ইতিহাসের সেই অংশটা। এখানে ইতিহাসের সেই লেজ ধরে এগিয়ে গেলে উন্মোচিত হবে সমস্ত রহস্য। ‘দ্য ব্ল্যাক একো’ এমন একটা তদন্ত কাহিনি যেখানে একটা খুনের আড়ালে লুকিয়ে আছে লোভ, স্বার্থ আর প্রতিশোধ।

এক রাতে হঠাৎ খবর এলো লস অ্যাঞ্জেলসের টানেলওয়েতে পাওয়া গেছে অজ্ঞাত একটি লাশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে হ্যারি বশ জানতে পারল লাশটা ভিয়েতনাম যুদ্ধে ওর এক সহযোদ্ধার। কী রহস্য লুকিয়ে আছে এই খুনের পেছনে?

ওদিকে আবার, একদল ডাকাত মাটি খুড়ে টানেল বানিয়ে শহরের ব্যাংকগুলোতে ডাকাতি করে চলেছে। কিন্তু এদের পরিচয়ই বা কি? আচ্ছা এগুলো কি কাকতালীয়? নাকি খুনের সাথে কিংবা ভিয়েতনামের যুদ্ধের সাথে এদের কোনো সম্পর্ক আছে?

ডিপার্টমেন্ট, এফবিআই এবং সরকারী নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তদন্তে নামে হ্যারি বশ। সেখানে তাকে মুখোমুখি হতে হয় ভয়ানক এক সত্যের! কি সে সত্য?

মূলত একটা খুনের তদন্তকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এ গল্পের পটভূমি। খুনের তদন্তে একটা সূত্র ধরে এগিয়ে গেলে বেরিয়ে আসে আরও অনেক সূত্র। গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে একসময় রহস্য উন্মোচিত হয়। এখানেও তেমনটা হয়েছে। যে খুন হয় সে হচ্ছে কারো মাথার একটা কান। সেই কানটা হচ্ছে তদন্তের একটা সূত্র। এই সূত্র ধরে এগোলে বেরিয়ে আসবে মাথা। জানা যাবে সেই মাথার উদ্দেশ্য। এই ধরনের বই পড়তেই বেশি মজা। মস্তিষ্ক একেবারে সজাগ হয়ে থাকে!

যদিও এখানে ওরকম টানটান উত্তেজনা কিংবা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার মতো কোনো টুইস্ট নেই। তবে এক অদৃশ্য শক্তি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখবে পাঠককে, যার মন সমাপ্তি দেখতে হাঁসফাঁস করবে। শেষের দিকে যখন কাহিনির গতি বেড়ে যাবে, তখন উত্তেজনার পারদ কিছু সময়ের জন্য হলেও অনায়াসে অনেক উপরে ওঠে যাবে। তখন সত্য জানার জন্য উতলা হয়ে উঠবে মন। মনে হবে কি সেই সত্য?

যত দূর জানি দ্য ব্ল্যাক একো মাইকেল কনেলির প্রথম উপাখ্যান। প্রথম বই হিসেবে অপরিপক্কতার তেমন কোনো ছাপ লক্ষ করা যায়নি। নিজের অস্তিত্ব ভালোভাবে জানান দিয়েছেন তিনি। কাহিনি বিল্ডাপ করতে যথেষ্ট সময় নিলেও এর ভেতরের পারিপার্শ্বিক আবহের বিস্তারিত বর্ণনা ছিল নিখুঁত ও মুগ্ধকর, যা আকৃষ্ট করে রেখেছিল পুরো গল্প জুড়ে। এর জন্য অনুবাদও খুব ভালো ভূমিকা পালন করেছে।

এবার অনুবাদ নিয়ে বলি, যারা ইশরাক অর্ণবের নাম শুনেছেন আশা করি এটা অন্তত বলে দিতে হবে না যে, উনি বর্তমান সময়ের তরুণ অনুবাদকদের অন্যতম। বয়স তার খুব বেশি না কিন্তু এ সময়ের মধ্যেই অনুবাদ করেছেন ৫+ বই। আর তার অনুবাদ নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই। আমারও নেই। একদম সাবলীল বর্ণনা দিয়ে পাঠককে ধরে রাখতে পারবে সহজে।

সবশেষে বলবো, মস্তিষ্ককে ভাবাতে চাইলে মাইকেল কনেলির এই প্রথম ও দারুণ বইটা পড়ে ফেলুন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *