দ্য দা ভিঞ্চি কোড PDF Download ড্যান ব্রাউন

‘দ্য দা ভিঞ্চি কোড’ উপন্যাসটির রচয়িতা মার্কিন ঔপন্যাসিক ড্যান ব্রাউন। ডাবলডে প্রকাশনী থেকে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে। এটি লেখকের রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের দ্বিতীয় বই। বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত বইগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। বইটি প্রথম প্রকাশের পর হতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৮ কোটি কপি বিক্রি হয়। বাংলা ভাষাসহ বইটি প্রায় ৪৫ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

২০০৬ সালে উপন্যাসটির ওপর ভিত্তি করে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল, যা উপন্যাসটির মতই সাড়া পেয়েছিল। উপন্যাসটির পটভূমি রচিত হয়েছে দু’হাজার বছরের পুরোনো এক সত্যকে কেন্দ্র করে ল্যুভ্র জাদুঘর ও প্যারিস শহরের চারটি খুন হয় তাই নিয়ে। ইতিহাসের এমনি এক সত্য যা জানাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস সংকটে পরে যাবে, ইতিহাস লেখতে হবে নতুন করে, প্রতিষ্ঠিত ধর্মমতের ভিত্তি কেঁপে যাবে।

দ্য ভিঞ্চি কোড রিভিউ

সত্যটি লালন করে আসছে যে গুপ্ত সংঘ, সে সংঘের সদস্য ছিলেন আইজেক নিউটন, ভিক্টর হুগো, লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো ইতিহাস বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। অপরদিকে উগ্র ক্যাথলেক সংগঠন ‘ওপাস দাই’ সেই সত্যকে ঢাকা দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আর এর মাঝেই ল্যুভ্র জাদুঘরে একটি খুন হয়ে গেলে ডাক পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিম্বোলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডনের।

ল্যুভ্রর মাঝে খুনের সাথে জড়িত সংকেত খুঁজতে গিয়ে জেনে ফেলেন দুই হাজার বছর পুরোনো এক সত্য এবং এর পরে হলি গ্রেইল খুঁজতে গিয়ে পদেপদে সম্মুখীন হন বিপদের। যার ফলশ্রুতিতে বেড়িয়ে আসে যিশুর সাথে ম্যারি ম্যাগদালিনের বিয়ে হয়েছিলো কি না এমন এক ঘটনার। বইয়ের শুরুতেই একটি লেখা রয়েছেঃ ‘All description of artwork, architecture, documents and secret rituals in this novel are accurate.”

দ্য ভিঞ্চি কোড শেখ আবদুল হাকিম pdf

তারপর উপন্যাসের শুরু হয় সময়ের উল্লেখের মধ্য দিয়ে, রাত ১০টা ৪৬। ল্যুভ্র জাদুঘরের কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে জাদুঘরের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুলি করেছে সাইলাস নামক এক ক্যাথলিক সন্ন্যাসী। সাইলাস আবার কাজ করে টিচার নামক এক গুপ্ত লোকের হয়ে। জ্যাক সনিয়ের কাছে একটি স্টোনের অবস্থান জানতে চেয়েছিলো সাইলাস, কিন্তু জ্যাক তা বলতে অস্বীকৃতি জানালে ঝামেলার সূত্রপাত হয়।

এই স্টোন হলো আবার হলিগ্রেইল খুঁজে পাওয়ার একমাত্র চাবিকাঠি। জ্যাক সনিয়ে মৃত্যুর আগে নিজের শরীরকে ভিটরুভিয়ান ম্যানের আকৃতিতে ধরে রাখেন ও কিছু সংকেত এঁকে রেখে যান। মৃত্যুর পর জ্যাক সনিয়ের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং রবার্ট ল্যাংডনকে তলব করা হয় সংকেতের পাঠোদ্ধারের জন্য।

এক সময় রবার্টকে জানানো হয় জ্যাক যেই গোপন সংকেত লেখে গেছেন তার মধ্যে একটি লাইনে বলা হয়েছেঃ “রবার্ট ল্যাংডনকে খুঁজে বের কর।” আর এভাবেই উপন্যাসের গল্প সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে এক সময় রবার্ট খুঁজে পান একটি বাক্স যার ভেতরে ছিল একটি ক্রিপটেক্স কিন্তু ক্রিপটেক্সটি খুলতেই বেড়িয়ে আসে আরো কয়েকটি ক্রিপটেক্স ও ধাঁধা।

আর এই গল্প যা শুরু হয়েছিলো ল্যুভ্রতে শেষ পর্যন্ত আইজ্যাক নিউটনের সমাধি পর্যন্ত গড়িয়েও শেষ হয় না। আর এসব অসাধারণ ঘটনার সাক্ষাৎ পেতে হলে পাঠককে উপন্যাসটি পড়তে হবে। উপন্যাসটির প্রত্যেকটি মুহুর্তে যেই শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা রয়েছে, তা রোমাঞ্চ প্রেমী পাঠকদের যে মুগ্ধ করবে শুধু তাই নয়।

দ্য দা ভিঞ্চি কোড PDF

যারা রোমাঞ্চ গল্পের প্রতি তেমন একটা আগ্রহী নন, তারাও এই উপন্যাস পড়লে অভিভূত হবেন বলাই বাহুল্য। আর যেহেতু উপন্যাসটির মূল বিষয়বস্তু সত্যের ওপরে ভিত্তি করে রচনা করা। তাই এটি পড়লে আমাদের ইতিহাস নিয়ে নতুন করে কিছু ভাবনাও পাঠকদের মনে উঁকি দিতে পারে তাতে কোন সন্দেহ নেই। পাঠকের চিন্তার জগৎকে নাড়িয়ে দেয়ার মত এক অদ্ভুত ক্ষমতা উপন্যাসটির আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top