বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ একটি সৃষ্টি হলো “দি একসরসিস্ট”।এই বইটি খুবই আকর্ষণীয় ও সাসপেন্সসিব। ভৌতিক কাহিনী নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। আপনারা যদি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের ভৌতিক বিষয়ক গল্প পড়তে চান তাহলে আপনাদের জন্য চমৎকার সব বইয়ের পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। আপনারা “দি একসরসিস্ট”বইয়ের ও পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। যারা এখনো বইটি পড়েন নি এখনই তারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন আশা করি নিরাশ হবেন না।
“দি একসরসিস্ট” বই মূলত পিটার ব্লেটির পিশাচ কাহিনীর ভাবানুবাদ। এটি একটি অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক গল্প। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে একুশে বইমেলাতে 1992 সালে। সপ্তমবারের মতো বইটি প্রকাশিত হয়েছে 2013 সালের জানুয়ারি মাসে। বইটি প্রকাশ করেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ।বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা হল: 120 টি। বর্তমানে বইটির মূল্য হল 176 টাকা। বর্তমানে এই বইটি আপনারা বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পেয়ে যাবেন। আর যারা বইটির হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটি পড়ে ফেলতে পারবেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
এই গল্পটি অত্যন্ত রোমাঞ্চকর এবং বইটি লজিক এবং এ্যান্টি লজিক দিয়ে ভরপুর। বইটিতে যেমন অনেক ভৌতিক ব্যাপার ঘটেছে তেমনি সেইসব ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছেন লেখক। গল্পটি মূলত 11 বছরের রেগান এর অস্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ে। মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিসের মেয়ে হল রেগান। রেগানের বয়স হলো 11 বছর। হঠাৎ করে রেগানের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক ব্যবহার লক্ষ্য করে তার মা। প্রথমদিকে রেগান একা একা কাল্পনিক চরিত্রের সাথে কথা বলতো।
দিন দিন তার অস্বাভাবিক আচরণ বাড়তেই থাকল। রেগান মানসিকভাবে দিনদিন ভেঙে পড়েছিল।তার ঘরে এমন কিছু ছিল যে তার জন্য সব সময় ঘরটা শীতল হয়ে থাকতো।ক্রিস খুব চিন্তিত হয়ে পড়ছিল তার মেয়ের জন্য। একদিন রাতে রেগানের ঘর থেকে কিছু একটা আওয়াজ আসছিল সেটা শোনার জন্য ক্রিস সেখানে যেতে আওয়াজটা থেমে গেল। রেগানের ঘরে এমন কিছু একটা ছিল যে জন্য রেগান এমন হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু কি সেটা বোঝা যাচ্ছিল না। ক্রিস তার মেয়েকে ডাক্তার দেখালো কিন্তু ডাক্তাররা রোগ ধরতে পারছিল না।ক্রিস তার মেয়েকে নিয়ে সাইক্রিয়াটিস্টের কাছেও গেছিলেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
তারপরে রেগানের বাড়িতে চলচ্চিত্র পরিচালক খুন হয়, ধারণা করা হয় রেগানই খুনটা করেছে।দিন দিন ক্রিসের বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছিল সবাই বলছিল রেগান কে শয়তান ভর করেছে। সবাই বলছিল শয়তানের হাত থেকে বাঁচার জন্য এক্সরসিজম করতে। ক্রিস তার মেয়েকে নিয়ে এক নাস্তিক মনোবিদ পাদ্রী কারাসের কাছে যান।
তিনি প্রথমে এক্সরসিজম করতে রাজি ছিলেন না কিন্তু পরবর্তীতে রেগানের শারীরিক অবস্থা দেখে রাজি হন।প্রথমে তিনি বৈজ্ঞানিক ভাবে রেগানের অসুস্থতার অনেক ব্যাখ্যা খুঁজেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি এক্সরসিজম করতেই রাজি হন। শেষ পর্যন্ত কি কারাস রেগান কে সুস্থ করতে পেরেছিল? রেগানের পরিণতি বা কি হয়েছিল সেটা জানতে হলে বইটা পড়তে হবে পুরোটা।
লেখক এখানে ভৌতিক ঘটনার মধ্য দিয়েও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছেন।বইটি পড়লে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে কারণ এখানে অনেক রোমাঞ্চকর এবং অসাধারণ কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন হুমায়ুন আহমদ স্যার। যারা হুমায়ুন আহমেদ এর বই পড়তে অনেক পছন্দ করেন তাদের জন্য আমি একটা কথাই বলবো এই বইটা না পড়লে অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। তাই বইটি সংগ্রহ করে একবার হলেও পড়ে ফেলুন আশাকরি হতাশ হবেন না।