দ্য নেস্ট অভ স্পাইডার PDF Download দিবাকর দাস

দিবাকর দাস’। অতি পরিচিত থ্রিলার লেখক। বিভিন্ন জনরায় লিখেছেন তিনি। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা চরিত্র ঈশান রায় এবং একটি রিভেঞ্জ থ্রিলার লেখে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তবে তাঁর এই লেখলিখির শুরুতে তিনি লিখেছিলেন এক অসাধারণ হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার। বইটার নাম ‘দ্য নেস্ট অভ স্পাইডার’। লেখকের সব থেকে বেশি সফল বই হলো এই নেস্ট অভ স্পাইডার, লেখক নিজেও এ কথা বলে থাকেন।

হালকা মিথ আর অসাধারণ ঐতিহাসিক থ্রিলার বই এটি। বইটি থেকে যারা এখনো বঞ্চিত তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত বইটির পিডিএফ ফাইল পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

গ্রীসের একচ্ছত্র অধিপতি কিংবা অঘোষিত সম্রাট বলা হয় আগামেমননকে। কাহিনীটা তাঁর সময়কার।
ক্ষমতার জন্য যে কোনো কিছুই করতে পারে সে। সেই একমাত্র সম্রাট যে কিনা পুরো গ্রীসকে একসাথে করেছে। তবে একজন আছে যে এসবের পরোয়া করে না। সে হলো গ্রীসের সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা একিলিস। ছোট্ট একটা রাজ্যের রাজা সে। তবে সবাই তাকে বীর বলে মানে। এটা অবশ্য পছন্দ হয়না সম্রাট আগামেমনন এর।

তা যাই হোক, হঠাৎ একদিন খবর আসে টায়ার রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জারাস এর মেয়ে কে নাকি গ্রীসের কোনো এক রাজ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জরাস গ্রীস আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। গ্রীসকে সে আক্রমণ ঠেকাতে গেলে উপকূল দখল করতে হবে। কিন্তু সেটা তো ট্রয় রাজ্যের। আর ট্রয় রাজ্যের সম্রাট কারও সাথে আপোষ করেননা। এজন্য আগে দখল করতে হবে ট্রয় নগরী। কিন্তু তাদের সাথে এমনি এমনি যুদ্ধে যাওয়া যায় না। কিংবা হঠাৎ আক্রমণ করে বসা যায় না। তবে উপায়?

উপায় আছে। সর্বনাশা সুন্দরী হেলেন। তাঁকে টোপ হিসেবে ব্যাবহৃত করা হবে। একদিন গভীর রাতে,
সম্রাট আগামেমনন, সুন্দরী হেলেন আর হেলেন এর বুড়ো স্বামী এবং আগামেমনন এর ভাই মেনেলাউস মিলে ফন্দি আঁটে। সে রাতেও শুরু হয় ইতিহাসের এক গহীন কালো অধ্যায়ের।

শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল? এ প্রশ্নটাই বার বার খুঁচিয়ে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত।

গ্রীক পুরাণ, তাদের ইতিহাস, বীরত্বের কাহিনী নানাদিকে নানাভাবে বিস্তৃত। সে কাহিনীর একটা অংশ হলো এই ট্রয় নগরী জয়। এ কথা সবাই জানি যে, গ্রীকরা অসাধারণ বীরত্বের সাথে এই নগরী জয় করেন। কিন্তু পিছনের অন্ধকারের গল্প, শত শত মেয়ের বিধবা হওয়ার গল্প। রক্ত পিপাসার গল্প ক’জনেই বা জানি? সে জানানোর চেষ্টা থেকেই লেখক লিখেছেন এ বইটি।

বইটাতে উঠে এসেছে সম্রাট আগামেমনন এর কূটনীতিক চাল, হেলেন এর রূপ এর যথাযথ ব্যবহার! যথাযথ বলছি কারন, সে সময় মেয়েদের তো ও কারনেই ব্যবহার করা হতো কি-না! লেখক সুনিপুণ ভাবে তাদের সব কির্তী তুলে ধরেছেন।

এছাড়াও আরও ছোটখাটো জিনিস উঠে এসেছে। তার একটা হলো– ক্ষমতার যথার্থ ব্যবহার! ক্ষমতা লাভ করলেই শুধু হয় না তা সেটাকে কাজে লাগাতে হয়। আর তার জন্য দরকার হয় ক্ষুরধার বুদ্ধিরও। করতে হয় বিশ্বাসঘাতকতা। আর নিজের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার বিচারও করতে হয়! বইটি পড়ে সে ব্যাপারেও ধারনা পাবেন!

চরিত্র বিশ্লেষণ

ঐতিহাসিক বইগুলোতে দেখেছি ছোট বড় মিলিয়ে নানা চরিত্র থাকে। এই হিস্টোরিক্যাল থ্রিলারও তার ব্যাতিক্রম কিছু ছিল না।
বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রে নাম বলি—
প্রথমেই আসবে সম্রাট আগামেমনন।

তাঁর ভাই মেনেলাউস। আছে মেনেলাউস এর স্ত্রী, দেবতারাও যার রূপে পাগল, লাস্যময়ী সে নারী হেলেন…!
আছে বীর যোদ্ধা একিলিস। এছাড়াও ট্রয় নগরীর আরেক বীর হেক্টর। হেক্টরের ভাই প্যারিস। সে অবশ্য বীর না। ভিতুই বলা যায়! তাছাড়া গ্রীকের বিভিন্ন রাজ্যের রাজরাজড়াও আছে।এছাড়াও ছোটখাটো, গল্পের প্র‍য়োজনে আরও অনেকে আছে। সে না হয় বইটা পড়তে পড়তেই জানবেন…।

সবশেষে বলবো, অসাধারণ হিস্টোরিক্যাল একটা থ্রিলার। যা পাঠককে আটকে রাখবে। এক অন্যরকম শিক্ষা দিবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top