দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড PDF Download মোশতাক আহমেদ

বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে এক পরিচিত নাম হল মোশতাক আহমেদ। বাংলাদেশের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। সে তার প্রতিভা দিয়ে খুব সহজে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু বরাবরই লেখার প্রতি আগ্রহ তার অনেক আগে থেকেই। তিনি সবচেয়ে বেশি সাইন্স ফিকশন বই গুলো লিখেছেন। বাংলা সাইন্স ফিকশন জগতের তার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। তার বিভিন্ন সাইন্স ফিকশনের মধ্যে “দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড”এটি একটি অন্যতম বই।

মোশতাক আহমেদকে সাহিত্যাঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরা হয়। তিনি সাইন্স ফিকশন এর পাশাপাশি অন্যান্য অনেক বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে ভৌতিক, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্লাসিক ও ভ্রমণকাহিনী নিয়ে অনেক উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি একটি বিষয়ের উপর সীমাবদ্ধ না থেকে অনেক বিষয়ের উপর লেখালেখি করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ লেখক।

“দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2021 সালে। বইটি হার্ডকভার এ ছাপা হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন জয় কর্মকার। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 272 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 300 টাকা। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারবেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

বিজ্ঞানী হাইবিনের আবিষ্কার করা বিশাল ধুমকেতু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। এই ধুমকেতু প্রচন্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে যার কারণে পুরো দেশ ধুলোর আবরণে ঢেকে গিয়েছে। পৃথিবীর এমন কোন বিজ্ঞানী নাই যে এই হাইবিন ধূমকেতু কে ধ্বংস করতে পারবে না। বিজ্ঞানী হাইবিন বলেছেন যে এই ধূমকেতুটি যখন পৃথিবীর উপর দিয়ে অতিক্রম করবে তখন তিন মাসের জন্য পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছাবে না।

তখন অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ভাবল তিন মাস যদি সূর্যের আলো পৃথিবীতে না আসে তাহলে পৃথিবীর গাছগুলো সালোকসংশ্লেষণ করতে পারবে না, অক্সিজেন ও থাকবে না তখন প্রাণীকুল একটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যাবে। সেই সময় প্রচন্ড ঠান্ডা পড়বে। এই কথা শুনে সব দেশ আগত দুর্যোগের মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। সব জেলাতে ভূগর্ভস্থ কেন্দ্র স্থাপন করা শুরু হয়। খাদ্য সকল শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে সমবন্টন করে দেয়া হয়।

এই গল্পের চরিত্র হলো ইফান ও রিফান। সম্পর্কে দুই ভাই এরা। এরা ময়মনসিংহ শহরে থাকে। তাদের বাড়ি থেকে 30 কিলোমিটার দূরে তার দাদার বাড়ি। দুর্যোগের সময় সবাই একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনাচক্রে ঢাকা থেকে আসা ইনশা ওতার মা সবাই ওদের সাথেই থাকে। শুরু হয় হাইবিন ধূমকেতুর কারণে মহাবিপর্যয়ের দিন। পৃথিবীর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়,সবখানে বরফ পড়তে লাগে।

একটার পর একটা বিপদের সম্মুখীন হতে থাকে সবাই। বাঁচার জন্য ইফান, রিফান ও ইনশা আশ্রয় নেয় গুহাতে। আস্তে আস্তে মানুষের বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। এরকম হতে হতে একসময় আগুন নিভে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় পুরো পৃথিবী। পুরো পৃথিবীতে অক্সিজেনের সংকট দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় প্রাণীকুলের।

শেষ পর্যন্ত ইফানরা কী বাঁচতে পারবে?? পুরো পৃথিবীর অবস্থাই বা কেমন হবে? আর যে বিজ্ঞানী এরকম একটা ধুমকেতু আবিষ্কার করল সেই বিজ্ঞানী পরিণতিই কী হবে? জানতে হলে অসাধারণ এই সাইন্স ফিকশন বইটি পড়তে হবে। এই বইটিতে সেই সময়ে খাবার পানি কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল মানবকুলের জন্য, সেটা এই বইটা না পড়লে বোঝানো সম্ভব নয়। পানির অপর নাম জীবন সেটা আরেকবার প্রমাণিত হয় এই বইটার মাধ্যমে। তাই বলব যারা বিজ্ঞানসম্মত বই পড়তে পছন্দ করেন, তারা আর দেরি না করে এই বইটি পড়ে ফেলুন। আশা করি নিরাশ হবেন না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top