ইংরেজি সাহিত্যে একজন বিখ্যাত লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। ইংরেজি সাহিত্যে যে কয়েকজন বিখ্যাত কোভিদ নাম আমরা জানতে পারি তার মধ্যে রাইডার এক এবং অন্যতম। তার লেখা প্রত্যেকটি উপন্যাস মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে। তার প্রতিটি লেখায় তিনি বাস্তব কিছু ঘটনা কে সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন। তার অসাধারন লেখার মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন খুব সহজ উপায়ে। তার রচিত সবগুলো উপন্যাসই কম বেশি সবার কাছেই প্রসিদ্ধ হয়েছে। তার রচিত বিখ্যাত কয়েকটি উপন্যাসের মধ্যে জনপ্রিয় উপন্যাস হলো “দ্য ওয়ান্ডারার ‘স নেকলেস”।
তিনি উপন্যাস লেখাটা শুরু করেছিলেন মূলত বাজি ধরে। তার বড় ভাইয়ের সাথে বাজি ধরে তিনি অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস লেখা শুরু করে। তারপর থেকে তিনি দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর উপন্যাসের জন্য ইতিহাসের বিখ্যাত লেখকদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন। তার লেখা প্রত্যেকটি উপন্যাসই বাস্তবের কথা মনে করিয়ে দেয় সবাইকে। তার লেখায় আমরা মূলত আফ্রিকা মহাদেশের কথা বেশি লক্ষ্য করতে পারি।
“দ্য ওয়ান্ডারার’স নেকলেস”হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর বিখ্যাত রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক,মিথ ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস। এই উপন্যাসটির অনুবাদ করে বাংলাদেশের বিখ্যাত লেখক সায়েম সোলায়মান। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2017 সালে। বইটি প্রকাশ করে সেবা প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 381 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 120 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ
উপন্যাসটির মূল কাহিনী শুরু হয় একটি নেকলেস কে কেন্দ্র করে। গল্পটির মূল চরিত্র হলো ইডুনা ও ওলাফ। ইডুনা হল উপন্যাসটির মূল চরিত্র। ওলাফের বাগদত্তা হলো ইডুনা। ওলাফের বড় ভাইয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যায় তারা সপরিবারে। সেখানে গিয়ে অদ্ভুত এক ঘটনার সম্মুখীন হয় তারা। ওলাফের বড় ভাইয়ের পাত্রী হলো ইডুনা। ওলাফের বড় ভাইয়ের পাত্রী দেখে পছন্দ হয় না, কিন্তু ওলাফের ইডুনাকে দেখে খুব পছন্দ হয়ে যায়।
যেহেতু ইডুনাকে পছন্দ করে ওলাফ তাই সবাই মিলে তাদের বিয়ে ঠিক করে। একদিন চাঁদনী রাতে ওলাফ বাগদত্তা স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। সেখানে গিয়ে তারা সর্দার ওয়ান্ডারের কবরে কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। সর্দারের গলায় নেকলেস দেখে ইডুনা সেটি নেয়ার জন্য আকুল হয়ে পড়ে। ওই নেকলেসটি খুব একটা ভালো প্রভাব ফেলেনা মানুষের উপর। সবার জীবনকে অভিশপ্ত করে তোলে, যদি কেউ ওই নেকলেসটি নেয়।
ইডুনা বলে যদি ওই নেকলেসটি সে না পায় তাহলে বিয়ে করবে না। যেভাবেই হোক তার নেকলেসটি চাই ই চাই। একদিন ওলাফ সবার অগোচরে গিয়ে সরদারের ওই নেকলেসটি নিয়ে চলে আসে। সেই নেকলেসটি ছিল অভিশপ্ত। শেষ পর্যন্ত নেকলেসটি নেওয়ার কারণে গোলাপের জীবনে কি হবে? নেকলেসটি ওলাফের জীবনে কি কোন অভিশাপ ডেকে আনবে? জানতে হলে বইটির প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পাতা পড়তে হবে।
এই বইটি পড়ার পর সবার মনে একটি কোথায় ঘুরবে সেটি হবে হল খুব সামান্য একটি ঘটনা বা সিদ্ধান্ত মুহূর্তেই বদলে দিতে পারে মানুষের জীবন। হয়তো ঘটনাটির জন্য কারো জীবনে আসতে পারে নতুন কোন মোড় আবার কেউবা নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। ওই অভিশপ্ত নেকলেসটি মানুষের জীবনকে আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে। ভৌতিক ও অ্যাডভেঞ্চার মুলক এই জনপ্রিয় বইটি যদি কেউ না পড়েন, তিনি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি বইটি পড়ে ফেলুন। বইটি না পড়লে সাহিত্যের অনেক রস পাওয়া বাকিই থেকে যাবে।