দ্য উইজার্ড PDF Download হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

ইংরেজি সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। তিনি তার অভাবনীয় লেখার মাধ্যমে খুব সহজেই পাঠকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। তার লেখায় সব সময় বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। বাস্তব জিনিসকে তার কল্পনার চরিত্রের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করেন এই লেখক। তার লেখার বিষয়বস্তু গুলো খুবই বাস্তবিক ও হৃদয়স্পর্শী। তার সবগুলো উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে “দ্য উইজার্ড” একটি অন্যতম রচনা।
বিশ্ব বিখ্যাত লেখক হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর আফ্রিকা মহাদেশ ভিত্তিক বইগুলো সারাবিশ্বে অধিক জনপ্রিয়। আফ্রিকা ভিত্তিক বইগুলো ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে পুরো দেশে। আর বাঙালি পাঠকেরা তার বইয়ের সাথে পরিচিত হয়েছে সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমে। হেনরি রাইডার বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন রকম জ্ঞান অর্জন করে সেই জ্ঞানগুলো তার বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
“দ্য উইজার্ড”হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর একটি রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে সেবা প্রকাশনী। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2016 সালে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিউক জন। উপন্যাসটি হিস্টোরিক্যাল ও অ্যাডভেঞ্চার ঘরানাতে লেখা। এই বইটি কে বাংলায় অনুবাদ করেন তারক রায়। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 175 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 62 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ
এই উপন্যাসটি মূলত আফ্রিকা মহাদেশ কেন্দ্রিক। এটা যে সময়ে রচিত হয়েছে সেই সময়টা হল অন্ধকারাচ্ছন্ন আফ্রিকা মহাদেশ। যেখানে বিরাজ করছে ভয়াবহ অন্ধকার। আক্ষরিক অর্থে অন্ধকার বলতে বোঝানো হয়েছে কুসংস্কার। মোটামুটি আফ্রিকার সব উপজাতির মধ্যেই কুসংস্কারের প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর ঠিক এ অবস্থাতেই খ্রিস্টান মিশনারীরা চালিয়ে যাচ্ছে খ্রিস্টধর্মের আলোয় তাদেরকে আলোকিত করার কাজ।
আর এই কাজটি করার জন্য তাদেরকে মুখোমুখি হতে হয় অনেক রকমের অদ্ভুত ও অপ্রীতিকর অবস্থায়। এমনকি অনেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। “দ্য উইজার্ড” এই গল্পটি আসলে রেভারেণ্ড টমাস ওয়েনের। তিনি একজন খ্রিস্টান মিশনারির মুখে অগ্নি সন্তান জাতির নানা গল্প শুনে তাদের মাঝে খ্রিস্টধর্ম প্রচার এর মিশন নিজের হাতে তুলে নেন। তার অর্জিত জাগতিক সব মোহ মায়া ও অঢেল সম্পদ পায়ে ঠেলে বন্য জাতির কাছে পৌঁছানোর জন্য ঘর ছেড়ে বাইরে বের হন।
সে অগ্নি সন্তান জাতির কাছে নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হন। তিনি বার্তাবাহক নাম ধারণ করে। অগ্নি সন্তান জাতির প্রধান জাদুঘর হোকোসা একেবারে মেনে নিতে পারেন না টমাস ওয়েন এর উপস্থিতিকে। খ্রিস্টীয় ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে তারা গা জ্বালা শুরু হয়। শুরু থেকেই সেই গোষ্ঠীর রাজা উমসুকার কান ভারি করতে থাকেন টমাস ওয়েনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে রাজার বড় ছেলে 1 ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অধ্যায় শুরু করতে থাকে।
যেহেতু টমাস ওয়েন ধর্মপ্রচারক, সেহেতু তাকে সব প্রতিকূল অবস্থা থেকে উদ্ধার করে স্বয়ং ঈশ্বর। ষড়যন্ত্রকারীদের সকল প্রকার চক্র বারবার নাস্তানাবুদ হতে থাকে স্বয়ং ঈশ্বরের আদেশে। অনেক রকমের লৌকিক অলৌকিক ঘটনা ঘটতে থাকে। অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষকে কিভাবে আলোকিত করা যায় তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই উপন্যাস। কিভাবে বার্তাবাহক তাদের সবার জীবনকে আলোয় ভরে দেয় সেটা জানতে হলে শেষ পর্যন্ত বইটা পড়ে দেখতে হবে।
এই উপন্যাসটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কারণ এই উপন্যাসের চরিত্র টমাস ওয়েন এর মধ্যে ফুটে উঠেছে ক্ষমাশীল ও অধিক ধৈর্য্য। এছাড়াও লেখক এখানে সেই সময়কার আফ্রিকা মহাদেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। তাই আমার মনে হয় এই উপন্যাসটি পড়ে অনেক অজানা তথ্য সবার জানা হয়ে যাবে। তাই বলবো আর দেরি না করে বইটি একবার হলেও সবাই পড়ে দেখুন। অবশ্যই ভালো লাগবে।