দ্য ইয়েলো গড PDF Download হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

ইংরেজি সাহিত্যে জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে অন্যতম লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। কার রচিত সবগুলো উপন্যাস অনেক বেশি পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছে। শুধু ইংরেজি সাহিত্যে নয় বাংলা সাহিত্যেও তার লেখা অনুবাদগুলো বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি বরাবর বাস্তবধর্মী লেখা লিখতে বেশি পছন্দ করে। তার লেখায় কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সেই পাঠকরাই এই উপন্যাস গুলো ভালোবাসে। তার প্রকাশভঙ্গি সবার থেকে আলাদা। তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম একটি উপন্যাস হলো “দ্য ইয়েলো গড”। তার লেখায় বরাবর সহজ সরল ও সাবলীল ভাষার ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।

হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড ইতিহাসে রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসিক, অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস এর লেখকদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি তার ভাইয়ের সাথে বাজি ধরে উপন্যাস জগতে পা রাখেন। তিনি খুব ছোট বয়সেই চাকরিতে যোগ দেয়। চাকরি সূত্রে তিনি বিভিন্ন দেশে দেশে থেকেছেন এবং অনেক ধরনের জ্ঞান লাভ করেছেন। তিনি বেশিরভাগ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকেছেন। তারই ফলশ্রুতিতে তার বিভিন্ন উপন্যাসে দক্ষিণ আফ্রিকার কথা ও সেখানকার পরিবেশ এবং অনেক অজানা কথা তুলে ধরেন তার লেখাতে।

“দ্য ইয়েলো গড”হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর জনপ্রিয় রহস্য গোয়েন্দা অ্যাডভেঞ্চার মুলক অনুবাদ উপন্যাস। এ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2015 সালে। উপন্যাসটি প্রকাশ করে সেবা প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 286 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 111 টাকা। আগ্রহী পাঠকদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এই বইয়ের লিঙ্ক দিয়ে রাখব,আপনারা চাইলে সেখানে গিয়ে ডাউনলোড দিয়ে পড়ে নিতে পারবেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই বইটির মূল চরিত্র হলো আ্যলান ভার্ণন। তিনি সেনাবাহিনীর রিটায়ার্ড একজন মেজর। তিনি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর একটি কোম্পানিতে যোগদান করে। সেই কোম্পানির নাম হচ্ছে ফ্লোটেশন কোম্পানি। কোম্পানিতে যোগ দেয়ার পরে তিনি জানতে পারে এই কোম্পানি আসলে লোক ঠকানোর কাজে নেমেছে। অ্যালান বরাবর সৎ মানুষ ছিলেন। এ কথা শোনার পরে তিনি কোম্পানি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে কোম্পানির দুই পার্টনার রবার্ট ও হ্যাসওয়েলের সাথে তার শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা দুজন মিলে আ্যলানকে দুইটা শর্ত দেয়। যার মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিতে হবে আ্যলানের। একটি শর্ত হলো নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে কোম্পানির লাভের অংশীদার হওয়া আর অন্যটি হলো সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করা। আ্যলান দ্বিতীয় টা বেছে নেন।

আ্যলান তার সমস্ত সম্পত্তি রবার্টের কাছে বাধা দেয়। রবার্ট তার খারাপ দৃষ্টি বান্ধবী বারবারার দিকেও দেয়। অ্যালান কিছুতেই বুঝতে পারে না সে কি করবে। একদিকে তার সমস্ত সম্পত্তি আর অন্যদিকে তার ভালোবাসা। হঠাৎ করে তার মাথায় একটি বুদ্ধি আসে। আ্যলান তার ভৃত্য জিকে নিয়ে পাড়ি দেয় আফ্রিকাতে।

যেখানে তারা যায় সেখানে ভয়ঙ্কর আসিকি গোত্রের মানুষের বসবাস। যেখানে আছে অবারিত সোনার ছড়াছড়ি। অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয় আ্যলান ও জিকি। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তারা দেখা করে সর্বময় ক্ষমতা ধারে রহস্যময়ী নারী আশিকার সাথে। যেখানে নরবলি ও নৃশংসতার সম্ভাবনা সে দেশ থেকে কিভাবে সোনা নিয়ে বেরিয়ে আসবে আ‌লান আর জিকি? জানতে হলে পুরো বইটা একবার হলেও করে দেখতে হবে। অসাধারণ এই বইটি আমার মনে হয় সবার একবার হলেও পড়া উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top