তিন বাহু দশ মুখ PDF Download অনির্বাণ মুখার্জী

অনির্বাণ মুখার্জী। অপরিচিত একটা নাম। অপরিচিত হবারই কথা, কারণ, তিনি ওপার বাংলার লেখক। মানে কলকাতার। তবে তার একটা ঐতিহাসিক থ্রিলার উপন্যাস, ‘তিন বাহু দশ মুখ’ বইটি বাংলাদেশের একটা প্রকাশনী, ‘বাতিঘর’ থেকে বের হয়। বইটা বের হয়েই কিছুটা সড়া ফেলেছে। খুব বেশি না হলেও যথেষ্ট। কারণ তাতে লুক্কায়িত আছে হাজার বছরের ইতিহাস, মিথ সহ নানা বিষয়। যা পাঠকের জানার আগ্রহকে শতগুম বাড়িয়ে দিয়েছে। ওপার বাংলার এই জনপ্রিয় লেখকের বইটি আপনারা অনায়াসে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

কাহিনি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমান সময়টা ব্যবহার করা হলেও কাহিনি দানা বেঁধেছে হাজার বছর আগে। অন্তত প্রায় বারো হাজার বছর আগের মিথ থেকে শুরু করে দেড়শ বছরের পুরোনো জিনিস পর্যন্ত! বইয়ের শুরু থেকেই বেশ রহস্যময়। চোরাচালান দলেএ একজন একটা গুপ্ত জিনিস একটা বড় পার্টিকে দিতে গিয়ে খুন হয়ে যায়! এটা ছিল প্রারাম্ভ। এখানে একটু রহস্য রাখা হয়। তবে রহস্য ছিল আরও অনেক জায়গায়।

অভিন্দন ও বিক্রমজিৎ দুই বন্ধু। দু’ জনেই সাংবাদিক। তারা একদিন কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় একটা নিউজ কভার করতে যায়। সন্ধ্যা বেলা হঠাৎ বিক্রমজিৎ চিড়িয়াখানার মধ্যেই এক জায়গায় পা পিছলে পরে যায়। তার ব্যাগের সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। অভিন্দন দৌড়েঁ তাকে সাহায্য করতে আসে। ব্যাগের মধ্যে থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিস গুলো গুছাতে গুছাতে তাদের মধ্যে ঢুকে যায় এক অমূল্য জিনিস। অবশ্য সেটা তখন তারা বুঝতে পারে না। তারা চিড়িয়াখানা থেকে বের হওয়ার সময় একটা ছেলেকে রাস্তায় পায়, আহত অবস্থায়। তারা ছেলেটাকে হসপিটালে ভর্তি করিয়ে আসে।

পরের দিন অভি যখন বিক্রমের বাসায় যায় খোঁজ নিতে তখন তারা আবিস্কার করে সেই জিনিসটা। তারা কিছুই বুঝে না। একজন পরিচিত ইতিহাসবিদ এর কাছে নিয়ে গিয়ে জানতে পারে যে জিনিসটা একটা পুথিঁ। তবে যে সে পুথিঁ না। দেড় হাজার বরছর আগের এক রহস্যময় জাতির পুথিঁ। অবশ্য পুথিঁটা সম্পূর্ণ না। এর তিনটা অংশ আছে। তারা যেটা পেয়েছে সেটা একটা খণ্ডাংশ। তবে এটা দামও কোটি টাকার কম না! অভি বিক্রম বুঝতে পারে না তারা কি করবে? অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়, বের করবে এই গুপ্ত পুথিঁর আসল রহস্য।

কিন্তু তারা তখনও জানে না যে, জিনিসটা খুজঁছে পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ। নানা দল। এর মধ্যে ত্রিনয়ন নামে একটা ভালো দলও আছে। যারা হাজার বছর আগ থেকে গুপ্ত রহস্য সংরক্ষিত করে রেখেছে। সেই জিনিসটা মূলত তাদের কাছেই ছিল। হঠাৎই হাতছারা হয়ে যায়। তারাও হন্যে হয়ে যায় সেটার খোঁজে। আছে আরও শক্তিশালী দল। অভি আর বিক্রম কি পারবে নানা দলের ঘাত প্রতিঘাত থেকে গুপ্ত জিনিসটার আসল রহস্য উদঘাটন করতে? জানতে হলে পড়ুন রহস্যে ঘেরা বইটি।

কাহিনী সংক্ষেপ যেমন চমৎকার বইটাও কম নয়। ওপার বাংলার লেখক অনির্বাণ মুখার্জী এই বইয়ের জন্য যে প্লট বেছে নিয়েছেন তা আসলে সুবিশাল। এই প্লটকে আকড়ে ধরে গল্প বলে যাওয়া আসলেই কঠিন। এই কাজটাই করেছেন তিনি। কাহিনীর প্রয়োজনে এনেছেন নানা চরিত্র। তাদের সামলাতে গিয়ে একটু যে ধাক্কা খাননি সেটা বলা যাবে না। মাঝে মাঝে একটু গুলিয়ে ফেলেছেন। তবে পাঠককেও তো একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। এছাড়া লেখকের বর্ণনা ভঙ্গীটা ভালো লেগেছে। তার একটা কারনও আছে। অনেক দিন পর ওপার বাংলার কারও লেখা পড়লাম, তাদের বর্ণনায় একটু হলেও ভিন্নতা আছে যা একঘিয়েমি ধরায় নি।

সবশেষে বলবো, যারা ইতিহাস পড়তে কিছুটা হলেও ভালোবাসেন, আগ্রহ থেকে থাকে, তবে এই বইটা আপনার জন্যই!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top