তিথির নীল তোয়ালে PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের তিথির নিল তোয়ালে বইটি পেয়ে যাবেন। আপনারা যাতে খুব সহজ উপায়ে হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর সকল বই পড়তে পারেন তার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে স্যার এর সকল বই এর পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আপনারা আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো বই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তিথির নীল তোয়ালে বইটির প্রকাশনা সংস্থা হল সময় প্রকাশন। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 200 টাকা এবং এই বইয়ের পৃষ্ঠায় রয়েছে 112 টি। রোমান্টিক এই বইটি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে এবং বইটির নামকরণের সার্থকতা কি তা বুঝতে পারবেন।
তিথির নীল তোয়ালে কাহিনী সংক্ষেপ
তিথির নীল তোয়ালে বইটিতে পৃথিবীর যত দুঃখ কষ্ট আছে তা সে তার নীল তোয়ালের কাছে জমা রাখে। তিথি এবং তার পরিবার একসঙ্গে বসবাস করেন। তার বাবা জাফর সাহেব বিভিন্ন কারণে বাড়িতে তার মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করেন। তবে সবসময় রাগারাগির বিষয়গুলো হয়ে যাবে ঠুনকো। তবে তিথির মা এসকল কিছু সহ্য করতে পারে তিথির অন্য দুই বোন অর্থাৎ এরা এবং নীরাকে নিয়ে তার বাপের বাড়ি চলে যাই। বর্তমানে তিথির বাড়িতে থাকে শুধু সে এবং তার বাবা। তিথির বাবার সঙ্গে মায়ের যে ঝগড়া চলে সেই বিষয়গুলো তার পছন্দ নয়। যখন তার খুব মন খারাপ হয় তখন সে বাথরুমে চলে যায় এবং তার প্রিয় তোয়ালে দিয়ে চোখের পানি মুছে।
তিথির একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এবং ছেলেটির নাম হল মারুফ। তাদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকে। কিন্তু এক সময় তিথি জানতে পারে যে মারুফ এতদিন থাকে যা বলেছিল সবগুলোই মিথ্যে। অর্থাৎ মারুফ স্কলারশিপ নিয়ে যে ফ্রান্সে যাবে এ কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা ছিল। যেহেতু বাড়িতে তিথি এবং তার বাবা ছাড়া আর কেউ নেই সেহেতু তাদের বাড়িতে এসে পৌঁছে গ্রাম থেকে নুরুজ্জামান নামক এক যুবক।
গ্রাম থেকে শহরে আসার প্রধান কারণ হলো শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা এবং গ্রামের স্কুলের বিষয়ে কথাবার্তা বলা। তাছাড়া আর একটি বিশেষ কারণে নুরুজ্জামান শহরে জাফর সাহেবের বাসায় এসেছেন। গ্রাম থেকে জাফর সাহেবের বাবা অর্থাৎ তিথির দাদা নুরুজ্জামান কে তার জন্য পছন্দ করেছেন। টেলিভিশনের কোন এক চরিত্রকে পাতার বাঁশি বাজিয়ে দেখেছিল বলে নুরুজ্জামান চেষ্টা করে পাতার বাঁশি বাজিয়ে শুনিয়ে বাড়ির লোককে মুগ্ধ করতে। কিন্তু সে পাতার বাঁশি বাজাতে ব্যর্থ হয়। নুরুজ্জামান শহরে যে কাজে এসেছিল সে কাজটা সম্পন্ন হয়ে যায়। যেহেতু মারুফ তাকে থেকে কথা দিয়েছিল সেহেতু সে তার বাবাকে বুঝিয়ে ছিলো এবং তার বাবা রাজি হয়ে গিয়েছিল।
বিয়ের জন্য তার মাকে তাদের বাড়িতে আনার জন্য সিলেটে রাতের বেলা ট্রেনে চড়ে যায়। ট্রেনে মারুফ যাত্রী হয় এবং পৃথিবীর সঙ্গে আরও একজন যাত্রী থাকে। তিনি হলেন নুরুজ্জামান। যখন তারা সিলেট থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছায় এবং বিয়ের তোরজোর চলে তখন মারুফের সকল মিথ্যা কথা প্রমাণিত হয়ে যায়। তারপরেও বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
নুরুজ্জামান যে উদ্দেশ্যে শহরে এসেছিল তার সে উদ্দেশ্য কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। তারপরেও মারুফের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার জন্য সে খুশি হয় এবং সে বিয়ের অনুষ্ঠানে সে তার পাতার বাঁশি বাজাতে সফল হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না প্রেম-ভালোবাসা বিষয়গুলো লেখক তার কলমের লেখনীতে সুন্দরভাবে এ বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রত্যেকটি পাঠকের কাছে বইটি সুখপাঠ্য হবে বলে মনে করি। তাই দেরি না করে এখনি বইটি ডাউনলোড করে নিয়ে পড়ে ফেলুন।