তৃষ্ণা PDF Download জহির রায়হান

জহির রায়হানের তৃষ্ণা বইটি যদি আপনারা ডাউনলোড করতে চান? তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তৃষ্ণা বইটি ডাউনলোড করতে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে দেখুন। এটি একটি সামাজিক উপন্যাস। এ বইটিতে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে যে চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, তৃষ্ণা থাকে সে বিষয়টি উঠে এসেছে।

কাহিনী সংক্ষেপ

গল্পের শুরুতেই উঠে আসে একটি প্রকাণ্ড বাড়ি। সেখানে বাস করে অনেক পরিবার। বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের বাস সেই বাড়িতে। তবে আচরণ সুলভ ভাবে বাড়ির বাড়ির পরিবেশ খুব একটা ভালো না। কেউ বউ পেটাই, কেউ নেশা করে, কেউ খুবই অসুস্থ। সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ ওটা নয়। সেই বাড়িতে বসবাস করে বুড়ো আহমেদ শেখ। ১৫ বছর ধরে আশেপাশের পরিবেশ দেখে সে অভ্যস্ত। তাই কথায় কথায় লোককে একহাত দেখে নেওয়ার ভয় দেখায় সে।

বাড়িতে বাস করে শওকত আলী নামে একজন কর্মহীন মানুষ। একদিন রাতের বেলায় আহমেদ এর সঙ্গে গল্প করে বাড়ি ফেরার পথে দেখা হয় মার্থা নামক একটি মেয়ের সঙ্গে। মার্থা তাকে রিক্সাতে ডেকে নেয়। অবশ্য তারা দুইজন সে বাড়িতে বসবাস করে বলে আগে থেকেই পূর্বপরিচিত। মার্থা একজন মহিলা যার বয়স ত্রিশের উপরে।

স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তবে শওকত আলীর প্রতি তার অনুরাগ রয়েছে। সে শওকত আলীর ঘরে আসে এবং তাকে অনুরোধ করে যতদিন সে চাকরি না পাচ্ছে, ততদিন সে যেন মাথার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে। শওকত আলী অনেক ভেবেচিন্তে রাজি হয়।

সেখানে বসবাস করা পরিবারের বিভিন্ন ঘটে যাওয়া ঘটনা বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। একদিন হঠাৎ করেই মতিন সাহেবের মেয়ে এবং নাজমুল সাহেবের ছেলে প্রেম করা অবস্থায় ধরা পড়ে যায়। এতে সেই পরিবারে বসবাসরত মানুষের মনে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। তারা বিভিন্ন ধরনের আপত্তি তুলেছে। এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ এখানে চলতে দেওয়া যাবে না।

পরবর্তীতে মতিন সাহেব তার মেয়েকে নিয়ে ঘরে চলে যাই। কিছু দিনের মধ্যেই আজমল সাহেবের ছেলের তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয় সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। অবশ্য শওকত আলীর ঘটনা গুলো আগে থেকেই জানা ছিল সেই রাতেই হঠাৎ করে শওকত আলী মার্থা ঘরে চলে আসে।

সব কিছুকে অন্ধকার করে দিয়ে সে তাকে থাকে আলিঙ্গন করে। এই অপ্রস্তুত আলিঙ্গনের জন্য সে হতবিহ্বল হয়ে যায়। পরেরদিন শওকত আলী নিজেকে অনেক অপরাধী ভাবতে থাকে। সে দেখা করতে চাই মার্থার সঙ্গে। যেখানে মাথা কাজ করে সেখানে দেখা করতে গিয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয়।

পরে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়। এভাবেই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা একসময় ঠিক করে যে তাদের একটি সুন্দর সংসার হবে। সেই প্রত্যয়কে সামনে ঘিরে তারা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে থাকে। তারা ভাবতে থাকে যে নতুন একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা সেখানে থাকবে।

একটি ঘর খোঁজ পেয়ে যাই তারা। সেখানে গিয়ে একটি দোকান করার জন্য ঘর পেয়ে যায়। কিন্তু তাদের প্রধান সমস্যা হলো টাকা। তাদের কাছে সঞ্চিত টাকা না থাকার কারণে তারা দুজনেই চিন্তিত হয়ে পড়ে। পরে মার্থা দিনরাত পরিশ্রম করা শুরু করে। একদিন হঠাৎ করেই সেই পরিবারের সামনে পুলিশ দেখতে পাই শওকত আলী।

কারণ হিসেবে জানতে পাই মার্থা যে দোকানে কাজ করতো সেখানকার অনেক ঔষধ চুরি করেছে। তার ঘরে এনে রেখেছে। তার সাথে ৭০০ টাকা মেরে রেখেছেন। তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। শওকত আলী কি করবে তা ভেবে না পেয়ে নিজের ঘরে চলে আসে।

হঠাৎ করেই সে শুনতে পাই বউ-পেটানো কেরানি তার বউকে পেটাচ্ছে। শওকত আলী নিজেকে সংবরণ করতে পারে না। সে একটি দা নিয়ে গিয়ে বউ পেটানো কেরানিকে হত্যা করে। হত্যা করার পর সে বাড়িতেই বসবাসরত সেলিনা নামের একটি মেয়ের হাত ধরে সে দৌড়াতে থাকে। পরেরদিন পুলিশ তাকে একটি প্রান্তর থেকে অ্যারেস্ট করে। এভাবেই তৃষ্ণা বইটির কাহিনী শেষ হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top