ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি PDF Download জুবায়ের আলম

বেশ পরিচিত লেখক এই জুবায়ের আলম। লেখালিখির তিন বছরে মোট তিনটা বই বের হয়েছে। আর অদ্ভুত ভেব তার ৩য় বইটার নাম হলো ‘ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি’। বইয়ের নাম শুনে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, এটি একটি গনিতের বই। কিন্তু আদতে তা নয়। এটি একটি ইনভেস্টিগেটিভ থ্রিলার। বলাই বাহুল্য বইটা আগের দুটো বইয়ের মতোই দারুন। আর লেখকের অসাধারণ লিখনশৈলীতে তা আরও ফুটে উঠেছে। আর এই দারুন বইটা যারা এখনও পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

জিনারুল, আশকার ও মজিদ। এউ তিনজন। আশকার ও জিনারুল দুজনই ড্রাইভার তবে মজিদ না। হবু ড্রাইভার তবে বর্তমানে হেল্পার। তিনজনই একসাথে একই মেসে থাকে। অতি সাধারণ ও ছিমছাম জীবন তাদের। প্রত্যেকের আছে একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা। সেই স্বপ্ন আর ভবিষ্যত পরিকল্পনাকে সত্যি করতে ঘটনা মোড় নিতে শুরু করে অন্যদিকে! কি সেই ঘটনা?

আশকার নেমে পড়ে এক ‘ধান্দায়’ যেখানে রাতারাতি অনেক টাকা রোজগার করা সম্ভব হয়। সেই ধান্দায় অংশ নেবার জন্য সে মজিদকেও উৎসাহিত করে আর একটা সময় সেও রাজি হয়৷ কিন্তু সে ধান্দা স্রেফ ভয়ংকর কিছ ঘটবার আভাসমাত্র। কোনো এক বিশেষ কারণে জিনারুলও জড়িয়ে পড়ে বাকি দুজনের সাথে।

নিজেদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যতকে রঙিন করতে তারা সজ্ঞানেই জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অদ্ভুত অপরাধে। যে অপরাধকে শুধু অপরাধ বললেই হবে না। সেইসব অপরাধ হতে পারে এক প্রাচীন হুমকি। তারা ছিনিয়ে আনতে চায় নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে। পাপের টাকা বয়ে বেড়ায় তিনজনই। কিন্তু তারা কি আদৌ জানে? যে যাহা করে, তাহাই সহে। কিন্তু এর মানে কি?

এদিক সেইসব অপরাধীদের খুঁজে বের করতে নেমে পড়ে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের এজেন্ট মিস স্ফিয়েতা। কিন্তু স্ফিয়েতাও জানে না, অপরাধীদের খুঁজতে সেও আটকে পড়বে এক জটিল সমীকরণের দোলাচালে।

যেখানে এই ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টির সমাপ্তি সেখানেই শুরু হয় অন্য এক তাড়াহুড়ো! ঠিক কি ঘটতে যাচ্ছে তাহলে? এসব সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে পড়ে ফেলতে হবে ‘ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি’।

বইটার প্লট ভালোই। তবে প্লট বা মূল কাহিনী যাই হোক না কেন, লেখকের লেখনশৈলী ভীষণ ভালো। আর এজন্যই তার বই নির্বিঘ্নে পড়া যায়। লেখকের লেখনীর জন্যই আপনাকে বইটি চুম্বকের মতো আটকে রাখতে বাধ্য করবে। সবার এই ক্ষমতা নেই।

বই বেশকিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে। এছাড়া চরিত্রের নাম উলোট-পালোট হতে দেখেছি। যেই ঘটনাস্থলে যেই কাজটি আশকার করছিল, সেখানে আচমকাই জিনারুলের নাম ঢুকে পড়া। কিছু কিছু স্থানে এমন উলোট-পালোট দেখেছি; আশকারের জায়গায় জিনারুল আবার জিনারুলের জায়গায় আশকার। আসলে এগুলো কিছু মিস্টেক। এবং সংশোধন করাও হয়েছে।

চরিত্র বিশ্লেষণ

চরিত্রের কথা যদি বলি তাহলে প্রথমেই আসবে ইনভেস্টিগেটর স্ফিয়েতার কথা। একজন ইনভেস্টিগেটর এর কি কি গুণ থাকা দরকার তা লেখক ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন।

আর যদি বলি, আশকার, জিনারুল কিংবা মজিদের কথা তাহলেও বলতে হয় লেখক তাদের ফুটিয়েছেন নিপুন ভাবেই! কারন অপরাধ জগতের ঘটনাগুলো সবাই নিখুঁতভাবে বুঝাতে পারে না। আর এক্ষেত্রে লেখকের লিখনী বেশ কাজে দিয়েছে।

পরিশেষ বলব, বইটি পড়ে দেখবেন অবশ্যই। চমৎকার লেখকের চমৎকার লেখনশৈলী পড়া উচিত সবার। আর তার কাছ থেকে আরও দারুন বই পাবেন আপনারা। সবশেষে একটাই কথা, বইটা পড়ুন। হতাশ হবেন না। বেশ ভালো কিছু সময়ই কাটবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top