ভ্রম সমীকরণ বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে। যারা থ্রিলার এবং সাইকোলজিকাল গল্প পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বইটি হবে অবশ্যই সুখপাঠ্য। আপনারা যারা বইটি কিনতে পারেননি অথবা কেনা হয়নি তারা আজকেই মনের চাহিদা পূরণ করার জন্য ভ্রম সমীকরণ বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তাই কথা না বাড়িয়ে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে গিয়ে ভ্রমর সমীকরণ বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিন এক ক্লিকের মাধ্যমে।
ভ্রম সমীকরণ বইটি লিখেছেন মোহাইমিনুল হক বাপ্পি। তার সমস্ত সত্তা বিলিয়ে দিয়ে বইটি লিখেছেন বলে মনে হবে একজন পাঠকের। কারণ বইটিতে অনেক ধরনের সাইন্টিফিক কারণ চোখে পড়বে যেগুলো সম্পর্কে আপনার আগে কোন ধারণা ছিল না। আবার সে সকল সাইন্টিফিক টার্মের ব্যাখ্যা এত সুন্দর ভাবে এবং প্রাঞ্জলভাবে প্রদান করা হয়েছে যে আপনি পড়লেই বুঝতে পারবেন।
বইটি বাংলাদেশের চিরকুট প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 96। বইটির মুদ্রিত মূল্য 150 টাকা মাত্র। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির সফটকপি অর্থ পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিন।
ভ্রম সমীকরণ বইটির কাহিনী সংক্ষেপ
ভ্রম সমীকরণ বইটি শুরু হয়েছে রাসেল খন্দকার নামক এক যুবককে নিয়ে। সে তাদের স্থানীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। স্কুলের একটি আইকিউ টেস্ট পরীক্ষায় তার নাম্বার সর্বোচ্চ হয়। আইকিউ টেস্ট এসে 170 নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে যা প্রধান শিক্ষকের চোখে লাগে। তিনি রাসেল খন্দকারের পিতাকে ডেকে নিয়ে বলেন যে তার ছেলেকে শহরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিতে। কারণ রাসেল খন্দকারের আইকিউ অ্যারিস্টোটল, হাইজেনবার্গের সমতুল্য। প্রধান শিক্ষকের এই কথা শুনে তার বাবা তাকে শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দেয়।
এসএসসি পরীক্ষা শেষে সে তার বাবার সাথে মামার বিয়েতে যায়। ট্রেনের কামরার মাঝখানে গিয়ে সে যখন বাইরের পরিবেশ উপভোগ করে তখন সে দেখে যে ট্রেন থেকে পড়ে গেছে। কোন রকমে বেঁচে যাই। তারপর থেকে তার সাথে শুরু হয় নতুন এক ধরনের বিষয়। তার ভেতরে প্রিমনিশন শুরু হয়। অর্থাৎ সে বর্তমানে অবস্থান করে ভবিষ্যতের অনেক চিত্র দেখতে পাই।
এভাবে সে মামার বিয়েতে আসন্ন খুন হওয়া থেকে রক্ষা করে প্রিন্স আশরাফ নামের একজন এমপিকে। তারপরে ইন্টারে পড়ার সময় কঠিন দাবাড়ু জিবরান আহমেদকে হারিয়ে ফেলে। প্রিমনিশনে সাথে দেখে ছিল যে জিব্রান আহ্মেদ কিভাবে তাকে পরাস্ত করছে। সেই অনুযায়ী সে পদক্ষেপ গ্রহণ করে জিব্রান আহমেদকে হারিয়ে ফেলে।
জিব্রান আহমেদ সাইকোলজির ছাত্র হওয়ায় রাসেল খন্দকার এর ভেতরের বিষয়টি বুঝে ফেলে। রাসেল খন্দকার জিব্রান আহমেদের উপর আশ্বস্ত হয়ে তার এই ধরনের সব ঘটনা খুলে বলে। রাসেল খন্দকারের জিব্রান আহমেদের থেকে জানতে পারেন ডিএমটি বিষয়ে। ডিএমটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা সেবন করলে একজন মানুষ ভবিষ্যতে অনেক কিছুই বাস্তবসম্মতভাবে দেখতে পাই।
পরবর্তীতে ডিএমটি সংগ্রহ করার জন্য রাসেল খন্দকার একটি ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করে অনলাইনের মাধ্যমে কেনে নেয়। কিন্তু যখন প্রডাক্ট সংগ্রহ করতে যাই তখন ও প্রিমনিশন এর মাধ্যমে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায়।
তারপরে সে যখন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ করে তখন তার জীবন স্বাভাবিকভাবে চলে। কিন্তু সেখানেও তার প্রিমনিশন হয়। সে লাইব্রেরিতে আসা আসন্ন জার্নাল সম্পর্কে জানতে পারে। যেখানে উইলিয়াম জোন্স নামক একজন লোকের মানব মস্তিষ্কের পূর্বাভাস ক্ষমতা, ডিএমটি, ভ্রম সমীকরণ শীর্ষক প্রবন্ধ এসেছে জানতে পারে। পরে উইলিয়াম জোন্স সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে যে নেপালে তিনি একটি সেমিনারে আসছেন। রাসেল খন্দকার সেই সেমিনারে যোগ দেয়।
সেখানে তার মতোই আরো ৫জন মানুষ জড়ো হয় যারা আলাদা আলাদা ভাবে প্রিমনিশন এর শিকার। এভাবে তারা একত্রিত হয়ে সম্মিলিত পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে যার নাম দেওয়া হয় নিউরোনেট। এ প্রতিষ্ঠানের কাজ হল পৃথিবীতে সংঘটিত হওয়া বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম এবং যে মানুষটি ক্রাইম এর সঙ্গে জড়িত আছে তার মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করা। এভাবে তাদের প্রতিষ্ঠান পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে যায় এবং পৃথিবীতে আসন্ন ছোটখাটো অপরাধ প্রবণতা কমে আসে।
কিন্তু এত কিছুর পেছনে মূল চাবিকাঠি কে নাড়ছে তা অনেকেরই জানতে আগ্রহ সৃষ্টি হবে। এই আগ্রহের চমক নিয়ে হাজির হবে নিউরোনেট অফিসে যোগ দেওয়া ক্রিস্টোফার হোয়াইট এর উত্তর এর মাধ্যমে। উত্তরটি আসলে কি ছিল এবং এর পেছনে হোতা কে, তা জানতে হলে আপনাকে পুরো বইটি পড়তে হবে।
এত কম সময়ে একটি সাইন্টিফিক এবং সাইকোলজিকাল থ্রিলার আপনাকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে সক্ষম হবে। অনেকেই বলেছেন যে, বইটির এমন কিছু কিছু টার্ম যা নিয়ে আলাদা করে বই লেখা সম্ভব। আসলেই এই কথাটি সত্য। তাহলে চলুন আমরা বইটি ডাউনলোড করে নিয়ে পড়ে ফেলি।