অডিশন রিউ মুরাকামি অনুবাদ ইশরাক অর্ণব ও ওয়াসি আহমেদ PDF download (থ্রিলার)

জাপানিজ জনপ্রিয় লেখক রিউ মুরাকামি। তাদের নামগুলো অদ্ভুত। তবে আর যাই হোক, তাদের মত ডার্ক আর দারুণ সব আইডিয়া সবাই করতে পারে না। প্রযুক্তি সহ নানা দিক দিয়ে এজন্যই জাপান অনেক এগিয়ে। সে যাই হোক, এই রিউ মুরাকামির দারুণ একটা থ্রিলার খুবই জনপ্রিয়। বইটির নাম ‘অডিশন’। নানা ভাষাতে অনুদিত হয়েছে, লাভ করেছে বহু খ্যাতি। বাংলা ভাষাতেও হয়েছে এর অনুবাদ। আর তা করেছে ওয়াসি আহমেদ এবং ইশরাক অর্ণব। অনুবাদের ব্যাপারে পরে আসছি। এখনো বইটা থেকে যারা বলেন বঞ্চিত তারা দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপঃ আওইয়ামা নামের এক ৪০ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ, আর তার একমাত্র ছেলে শিগে কে রেখে গত হয়েছে আরো কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী রাবেকা। এই ছেলে শিগ’কে নিয়ে তার দিন চলছে। আওইয়ামা মাঝে মাঝে খুবই নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন, মনের কথা বলার জন্য একটা ভালোবাসার মানুষ নেই তার।

ঠিক তখনই তার ছেলে পরমার্শ দেয় তাকে বিয়ে করার জন্য। বিয়ে করলে হয়তো তার নিঃসঙ্গা কাটবে। কিন্তু এই বুড়ো বয়সে সেটা কেমন যানি দেখায়!
কিন্তু ছেলের কথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই।
তবে এই বুড়ো বয়সে কিভাবে বিয়ে করবে, এই নিয়ে পড়লো মহাবিপদে। তখনই তার বন্ধু ইয়োশিকাওয়ার সাথে পরামর্শ করে। তারা কিভাবে সঠিক মেয়ে ঠিক করবে এই নিয়ে চিন্তা করে। আর এর জন্য তারা একটু মিথ্যার আশ্রয় নেয়। দুজনে মিডিয়ার সাথে সংযুক্ত বলে পরমার্শ ভালই হয়। তারা একটি মেকি অডিশন নেয় যেখানে নতুন মুখ নেয়ার অভিনয়ে পাত্রী খুঁজা হচ্ছে। ফলে হাজার হাজার ফর্ম জমা হয় সেখান থেকে একটি মুখ নির্বাচন করতে হবে। হাজার হাজার ফর্মের ভিতর সিলেক্ট হয় ইয়ামাসাকি আসামি নামের একটি মেয়ে।

যার ছবি দেখে প্রেমে পড়ে গেছে আওইয়ামা বুড়ো! ফলে তাদের মাঝে চলে প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক। এইভাবে চলতে থাকে, এক পর্যায়ে তারা এক হোটেলে মিলিত হয়। নেশা ও শারিরিক মিলনে পর ঘুৃম ভাঙ্গার পড় আসামীকে কোথাও খু্ঁজে পাওয়া যায়নি।হয়তো মনে করা হয়েছে আসামী হয়তো মারা গেছে। কিন্তুু অনেক দিন পড় আসামী কঠিন এক রুপ নিয়ে ফিরে আসে। তার এই রুপ সম্পূর্ণ অচেনা, তাহলে ভালবাসা কি অভিনয়? সবই ক মিথ্যে তাহলে? আর কেনও বা পা কাটার প্রতি আগ্রহ তার? এমন অদ্ভুত সব প্রশ্ন আর তার উত্তর জানতে হলে পড়ে ফেলুন এই অডিশন।

 

যাকে বলে এক কথায় জোশ একটা বই! জাপানী থ্রিলার বাংলা ভাষায় অনুদিত হয়েছে কম। তার থেকেও কম পড়া হয়েছে। কিন্তু তাদের বইগুলো পড়লেই তাদের চিন্তাভাবনা সম্পদ ধারনা পাওয়া যায়।

ছোট এই বইটি এক বসাতে শেষ করা যায়। বেশ ভালো সময় কাটবে। গল্পের প্লট দারুণ। ক্রাইম থ্রিলার শেষে এসে কেমন জানি ধোয়াশা লাগবে, আর সেটাই মজা!

তবে বইটি কখনও সুন্দর রোমান্টিক বই মনে হয়েছে। আবার একটু এডাল্ট ও লেগেছে। এতো চমৎকার নিখুঁত শারীরিক সম্পর্কে বর্ণনা একদম মাথা ঘুড়িয়ে দেবার মতই। কি দারুণ বর্ণনাভঙ্গী!

এবার অনুবাদ নিয়ে কিছু বলা যাক, ইশরাক অর্ণব আর ওয়াসি আহমেদ দুজনেই স্বতন্ত্র অনুবাদক। ইশরাক অর্ণব তো বেশ অনেক গুলো বইয়ের অনুবাদ করেছেন একাই। বরাবরই পাঠক নন্দিত হয়েছে তার অনুবাদ গুলো। সদরে গ্রহণ করেছে সবাই। তবে জাপানি জিনিস কিনা তাই দুজন মিলে অনুবাদ করেছে বইটি। ফলে আরও প্রাঞ্জল হয়েছে সব কিছু। একদম সাবলীলভাবে পড়ে যাওয়া যায়। সমস্যা হয় না।

সবশেষে বলবো, যারা জাপানিজ থ্রিলার পড়েছেন তারা তো পড়বেনই আর যারা পড়েন নি তারা একবার চেখে দেখতে পারেন। হতাশ হবেননা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top