একটি গল্প শুনবেন PDF Download তানভীর আহমেদ সৃজন

একটি গল্প শুনবেন PDF Download তানভীর আহমেদ সৃজনএকটি গল্প শুনবেন? বইটি লিখেছেন বর্তমানের জনপ্রিয় লেখক তানভীর আহমেদ সৃজন। এই বইটি বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান বাজারে বইটির হার্ড কপি পাওয়ার পাশাপাশি আমাদের ওয়েবসাইটে এটির পিডিএফ ফাইল পাওয়া যাচ্ছে। যে সকল পাঠক একটি গল্প শুনবেন বই এর পিডিএফ ফাইল পেতে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে নিন।
শুরুতেই লেখক সম্পর্কে কিছু বলি। তানভীর আহমেদ সৃজন, ইতিমধ্যেই দুটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন লিখেছেন। ‘একটি গল্প শুনবেন’ লেখকের তৃত্বীয় বই।
কাহিনী সংক্ষেপ
রাজধানীর খিলগাঁয়ের তালতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি ক্ষত-বিক্ষত বীভৎস মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাঁচটি মৃতদেহই নগ্ন! জানা যায়, এই পাঁচজন গত বছর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। কে বা কারা মানুষগুলোকে এমন বীভৎসভাবে খুন করেছে, পুলিশ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই নিখোঁজ হয়ে যায় আরো পাঁচজন! তারপর, একইভাবে তাদেরও নগ্ন এবং ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায় পরের বছর ঠিক একই দিনে!
কী সম্পর্ক ছিল এই নিহতদের মাঝে? আবার তাদের দেহে পাওয়া যায় চামড়া কেটে আঁকা ছবি! তাদের এই সবার দেহে খোঁদাই করে আঁকা ছবিগুলোই বা কী অর্থ বহন করছে? তানভীর আহমেদ সৃজনের লেখা সাইকোলজিকাল থৃলার ‘একটা গল্প শুনবেন?’ রহস্য, জেদ, নৃশংসতা আর রক্তের জাল যেখানে বুনেছে ভিন্নমাত্রার এক গল্প।
ডিবির জাঁদরেল অফিসার রায়হান সিদ্দীকি, তার কাছে এই কেসটা আসে সি আই ডি’র কাছ থেকে হস্তান্তর হয়ে। যে লাশ গুলো পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে দুই জন আবার ভি আই পি’র! একজন হোম মিনিস্টারের ভাতিজা, অন্যজন আবার দেশের সেরা শিল্পপতি’র ছেলে! তাঁরা কেউই চায় না কেসটা সম্পর্কে মিডিয়া অবগত হোক। গোপনে চায় কেসটার সমাধান। কিন্তু কেন?
হোম মিনিস্টারকে এই প্রশ্ন করলে তিনি আবার তা এড়িয়ে যান! কিন্তু কেন? এতো রহস্য কেন? কি লুকিয়ে আছে এই কেসের ভিতর? জানতে হলে দীর্ঘ কলেবরের, প্রায় চারশত পৃষ্ঠার এই অসাধারণ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারটি পড়তে হবে। তাছাড়া শুধু হোম মিনিস্টারই না ডিবি’র উর্ধতন কর্মকর্তা ডিসি রাশেদ মজুমদারও যেন কিছুটা জড়িত! যাই হোক, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার হলেও এখানে সিরিয়াল কিলিং’টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ!
শুরুটা একটু বোরিং টাইপের হলেও কাহিনী শেষটা মোটেও তেমন না। অর্থাৎ প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়েই যদি বিরক্ত হয়ে রেখে দেন তবে অসাধারণ একটা বইয়ের স্বাদ আস্বাদন থেকে বঞ্চিত হবেন! আমাদের দেশে সিরিয়াল কিলিং বা সিরিয়াল কিলার নিয়ে লেখা থ্রিলার গুলোতে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, খুন করার বিভৎসতা, কিলারের মানসিকতা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু এই বইটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে যদিও সিরিয়াল কিলিং’টাই মূখ্য, তবুও এখানে সেই তথাকথিত বিভৎসতা নেই। বরং তুলে ধরা হয়েছে সমাজের বাস্তব চিত্র! যেখানে লেখক কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু একটা থ্রিলারে কিভাবে সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরা যায়? প্রশ্ন যাগতেই পারে! আর প্রশ্নের উত্তরে পড়ে ফেলুন বইটি! অনেক থ্রিলার প্রেমি এ ধরনের আরও বই পড়ে থাকতে পারেন। তবে এটা আরেকটু ভিন্ন। কারন এটা শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়! এটি বাংলাদেশ ছাড়িয়েও চলে গেছে হাজার হাজার মেইল দূরের দেশে! কোন দেশে? সেটা বই পড়লেই বুঝতে পারবেন।
প্লটঃ এই গল্পের জন্য লেখক প্লট হিসেবে নির্বাচন করেছেন আমাদের রাজধানী ঢাকা’কে। সুতরাং এই নিয়ে বিস্তারিত আর কি বলব!
চরিত্রঃ মূল চরিত্রে রয়েছে অফিসার রায়হান সিদ্দিকী। তার সাথে রয়েছে– অফিসার আরাফ, বাপ্পাদিত্য, রাহাত, বাদল, শান্তানু সহ আরও অনেকে। শান্তানু’কে মেয়ে ভেবে ভুল করার কোনো কারন নেই, তিনি ছেলে! আর ভিলেনের চরিত্র কিছু বলবো না, ওটা বই পড়েই জেনে নিবেন। লেখকের জন্য শুভকামনা রইলো।