যে শহরে গল্প লেখা বারন PDF Download মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী

বইঃ যে শহরে গল্প লেখা বারন। (থ্রিলার)
লেখকঃ মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী

লেখক হিসেবে খুব একটা আগের নয় মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পি। বলতে গেলে এটিই তার প্রথম উপন্যাস। এবং এই প্রথম উওন্যাস দিয়েই বাজিমাত করে দেন লেখক মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পি। যারা এই লেখকের এর বই পড়েননি তারা নির্দ্বিধায় যে শহরে গল্প লেখা বারণ বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিয়ে পড়ে নিতে পারেন।

বইয়ের নামটাই আকৃষ্ট হওয়ার মত। আমিও নামটা দেখেই আকৃষ্ট হয়ে বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম। বেশ কিছু পেজ পড়ার পড়ও যখন কোনো থ্রিল পেলাম না তখন একটু হতাশ হলাম। কিন্তু একটু ধৈর্য ধরে পড়তেই কাজ হয়। যে শহরে গল্প লেখা বারণ বইটি বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইটিতে রয়েছে 144 পৃষ্ঠা। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 180 টাকা। যারা প্যারা সাইকোলজিকাল থ্রিলার বই পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বইটি একটি চমকপ্রদ বই হবে।

কাহিনী সংক্ষেপ

একটি অপরাধ মুক্ত মফস্বল নিশ্চিতপুর, কোন অপরাধ কোলাহল নেই। হঠাৎ চুরি ই হলো প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সাইকেল। তারপর আবার পাওয়াও গেলো।

সেই সাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন সাহিত্যঅনুরাগী এক দলনেতার পরিকল্পনায় এবং কিছু তরুণ তরুণী মিলে শুরু করলো থ্রিলার গল্প ভিত্তিক পাক্ষিক ট্যাবলয়েড। যেখানে সত্যের আদলে লেখা হবে গল্প। পত্রিকার নাম দেয়া হয় ‘গল্প হলেও সত্যি’। সেখানে বড় বড় কয়েক জন লেখক লিখতে থাকেন থ্রিলার গল্প। কিন্তু কারও নামই প্রকাশ করা হয়না! এভাবেই একে একে বের হয় তিনটি সংখ্যা।

কিন্তু তারপর হঠাৎই সেই গল্পের আদলেই হতে থাকে খুন। কখনো ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে কখনো বা সায়ানাইড দিয়ে কখনোবা প্রকাশ্য দিবালোকে।একে একে দশটা খুন। খুন হয় একজন পুলিশ অফিসার ও। ভাবিয়ে তোলে নিশ্চিতপুরের ওসি বুদ্ধিদীপ্ত চৌকস রুদ্র তালুকদারকে। নিয়ে আসেন তার বন্ধু বিখ্যাত সাইকোলজিস্ট জিব্রান আহমেদ কে। দুইজনের বুদ্ধির খেলায় কি বের হবে আসল খুনি? কে এই খুনি? গল্পের আদলেই খুন? সে কি গল্প লেখে? নাকি জানে?

প্রথমে মনে হতে পারে এটি একটি ক্রাইম থ্রিলার। কিন্তু এটি মূলত অসাধারণ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। লেখক কগনিটিভ সাইকোলজির উদাহরণটা খুব সুন্দরভাবেই উপস্থাপন করতে পেরেছেন।

বিশেষ করে বইয়ের একেবারে শেষের দিকে সাইকোলজিস্ট জিব্রান একটি ছেড়া বইয়ের উদাহরণ দেন, সেটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। তবে ছোট এই বইয়ের ফিনিশিংটা ছিল একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত! পাঠক হয়তো ভাবতেও পারবে না সেটা।

এখন প্রশ্ন হলো পুলিশ অফিসার রুদ্র, আর সাইকোলজিস্ট জিব্রান মিলে কি সেই খুনিকে বের করতে পেরেছে? তা জানতে হলে পড়তে হবে ১৪৪ পৃষ্ঠার এই বইটি। এবং বইটা আপনাকে এক নিঃশ্বাসেই নিয়ে যাবে শেষ পর্যন্ত!

চরিত্রঃ চরিত্র গুলোকে ভালোভাবেই তুলে ধরতে পেরেছেন লেখক। বিশেষ করে পুলিশ অফিসার রুদ্র তালুকদার, এবং তার বন্ধু সাইকোলজিস্ট জিব্রান! এছাড়াও আরো একটি প্রধান চরিত্র একজন লেখক!

প্লটঃ ছোট্ট এই বইয়ের প্লটটা ছিল আসাধারন। যদিও মাঝে মাঝে মনে হয়েছে লেখক যেমন চেয়েছে তেমনটাই হয়েছে। তবুও খারাপ বলার উপায় নেই। আপাতদৃষ্টিতে বইটির খুব একটা খারাপ দিক আমার চোখে পড়েনি। তবে একটি খারাপ দিক হলো কিছু বানান ভুল। এ ছাড়া ব্যাক্তিগত ভাবে বইটার কোনো ভুল আমি খুঁজে পাই নি।

শেষে একটা কথাই বলবো, এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো একটা বই। সাহিত্য প্রেমীদের কাছে এটি মাস্ট রিড একটা বই। তাই বইটির যারা হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন।

যে শহরে গল্প লেখা বারন PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top