মায়াবী জোছনার বসন্তে মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আমাদের প্রিয় লেখক মোশতাক আহমেদ। লেখক তার রচনাতে বরাবর সহজ, সরল, প্রাঞ্জল এবং সকলের বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করেছেন। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “মায়াবী জোছনার বসন্তে”অন্যতম।

এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা। এ পর্যন্ত এই লেখকের সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো দেখে বেশি সমাদৃত হয়েছে। তিনি একাধারে বিভিন্ন জনারের বই লিখেছেন।

“মায়াবী জোছনার বসন্তে” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2020 সালে। বইটির প্রকাশিত হয় আনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 240 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 342 টাকা।

 

কাহিনী সংক্ষেপ:

লেখক মোশতাক আহমেদ বিভিন্ন জনারের বই লিখলেও বেশি সমাদৃত হয়েছেন সাইন্স ফিকশন উপন্যাস ও প্যারাসাইকোলজি উপন্যাসের মাধ্যমে। এই উপন্যাসগুলোতে তিনি পাঠকদের মনের সংশয় দূর করে দেয়ার মতো অনেক তথ্য তুলে ধরেছেন। চলুন,আর দেরি না করে মূল গল্পে যাওয়া যাক।

নিশা আসে, নিশা যায়। সে কিভাবে কখন যায় আসে তা ঠিক আমি বলতে পারব না। আমি যখনই তাকে কামনা করি তখনই আসে হোক সেটা তখন সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা, দুপুর কিংবা মাঝরাত কখনোই না করে না নিশা। সে আমার ডাকে সাড়া না দিয়ে কিছুতেই থাকতে পারে না। সবথেকে বেশি এইবার আমার যে জিনিসগুলো ভালো লাগে সেগুলো হলো ওর মায়াবী রূপ লাবণ্য, ভুবনভোলানো হাসি।

নিশার এই সৌন্দর্য দেখে আমি একসময় বুঝতে পারি যে নিশা আমার জীবনের অনন্য এক প্রশান্তির জায়গা। তাই আমি সব সময় আশ্রয় খুঁজে বেড়াই নেশার মধ্যে। লোকচক্ষুর আড়ালে আমি চলে যাই নিশার কাছে। নিশা কখনোই আমাকে নিরাশ করে না। পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা আর অসুস্থতার বেড়াজাল থেকে আমাকে মুক্ত করে,আমার জীবনে নিয়ে আসে পরম প্রশান্তি আর জীবনকে করে তোলে সুখী আর সুন্দরময়।

আশেপাশের মানুষ কেউ আমার এই সুখ, আনন্দ কে মেনে নিতে পারছিল না। কারণ তাদের দৃষ্টিতে নিশা অসম্পূর্ণ, অপূর্ণ ও অযোগ্য আমার জন্য। আমার আর নিশার সম্পর্কের নাকি কোনো যৌক্তিকতা নেই, নেই কোনো বৈধতা এটাই মনে করে আমার আশেপাশের মানুষেরা। তাই নিশাকে আমার থেকে দূরে পাঠানোর জন্য নিশার বিরুদ্ধে সবাই উঠে পড়ে লাগে।

নিশা কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে তারা। নিশার শূন্যতা আমার দিকে ঠেলে দেয় অপূর্ব সুন্দরী নোভাকে। কিন্তু আমি নোভাকে কখনোই নিজের জায়গাটা দিতে পারব না। শুরু হয় নিশা আর নোভার যুদ্ধ। কিন্তু সেই যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকি আমি।

একসময় অনুভব করি যুদ্ধ শেষ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কে যুদ্ধে জয়ী হয়? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমি অপেক্ষা করতে থাকি মায়াবী জোছনার বসন্তের জন্য। কবে আসবে সেই বহু আকাঙ্খিত হয়নি জোছনার বসন্ত? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের বইটা পুরোটা পড়তে হবে। অসাধারণ রোমাঞ্চকর এ উপন্যাসটি আর দেরি না করে পড়ে ফেলুন। অবশ্য অবশ্যই ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top