নেমেসিস PDF Download মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক ও প্রকাশক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের অসাধারণ একটি উপন্যাস হলো “নেমেসিস”। তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য লেখক। তিনি কয়েকটি জনপ্রিয় ইংরেজি উপন্যাসের অনুবাদ করেন। তেমনই এক অসাধারণ উপন্যাস হলো “নেমেসিস”। এই বইটিতে অনেক অজানা রহস্যের সমাধান রয়েছে। এই বইটির হার্ডকপি যাদের কাছে নেই তারা এখনই আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে ফেলতে পারেন।

“নেমেসিস” এটি এক ধরনের থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। এখানে লেখক অনেক অ্যাডভেঞ্চারাস কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত করে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা আছে 272 টি। বর্তমানে বইটির মুদ্রিত মূল্য 266 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

বইটির নাম লেখক অনেক ভাবনা চিন্তা করে দিয়েছেন সেটা আপনারা বই পড়েই বুঝতে পারবেন। বইটির নাম এর সাথে কাহিনীর অধিকাংশই মিল রয়েছে। নেমেসিস গ্রিক পুরান মতে এর অর্থ হল প্রতিশোধ বা হিংসার দেবী। উপন্যাসটি পুরোটা পড়লেই আপনারা জানতে পারবেন কেন এই নামটি লেখক পছন্দ করেছেন।

জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রহমান ভিটা নূভা অ্যাপার্টমেন্টের ছয়তলার ইউনিটে তার পরিবারসহ থাকেন। তার প্রথম স্ত্রী গোলনূর আফরোজ তরফদার ওরফে গ্যাটের‌ সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে এই অ্যাপার্টমেন্টে এসে উঠেন। পরে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন যার নাম বর্ষা। জায়েদ রহমানের একটি দুই বছরের ছেলে সন্তান ও আছে।

একদিন লেখক বিষন্ন হয়ে শুয়ে আছেন তার ঘরে। দিনটি ছিল পূর্ণিমা, ঘরের দক্ষিণ দিকের ব্যালকনির দরজা খোলা থাকার কারণে বাহিরের জ্যোৎস্না ঘরে ঢুকে পড়েছে। পাশের রুমে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষা অপরিচিত এক লোক আলম সাহেবের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। ঘরের ফিসফিসানি আওয়াজটা মাঝেমাঝেই লেখকের কানে স্পষ্ট হয়ে ধরা দিচ্ছে।

তখন রাত প্রায় দুইটা বাজে। হঠাৎই এক ছায়ামূর্তিরষ এসে দাঁড়াল লেখক এর সামনে। ওই ছায়ামূর্তিটি হঠাৎ করে লেখক এর মুখ চেপে ধরল। অজ্ঞাত সেই ছায়ামূর্তিটি এক হাত দিয়ে অনেক জোরে লেখকের বুকের বামদিকে সজোরে আঘাত করতে লাগল, যেখানে কিছুদিন আগেই ওপেন হার্ট সার্জারি করেছেন। ওই ছায়ামূর্তির লোকটি এমন জোরে লেখক কে মেরেছেন যে ,শেষ পর্যন্ত লেখককে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

সেই সময়েই ভিটা নূভার সামনে এক অল্প বয়সী ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল যার দৃষ্টি ছিল ছয় তলার ওই ব্যালকনিটার উপর‌। এই ছেলেটাকে ইন্সপেক্টর এলাহী নেওয়াজ দেখে ফেলেন। জায়েদ রহমানের খুনের তদন্ত করার জন্য প্রশাসন এক বিচক্ষণ অফিসার নিয়োগ করেন,যার নাম জেফরি বেগ।

জেফরি বেগের অনেক কয়েকজনের ওপরে সন্দেহ হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন জায়েদ রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষা,তার প্রেমিক আলম এবং সেই ছোট্ট বাচ্চাটি। অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ এভিডেন্স জব্দ করেছিল জেফরি বেগ। অনেক ভাবনাচিন্তার পরেও এই খুনের রহস্যের এর কোন সঠিক সমাধান পাচ্ছিলেন না মেধাবী ও বিচক্ষণ অফিসার জেফরি বেগ।

তদন্ত করতে করতে একসময় জেফরি বেগের হাতে এমন এক প্রমাণ আসে যেটা দেখে তিনি খুব অবাক হয়ে যান। তিনি বুঝে যান যে লেখক এর আসল খুনি। কিন্তু আমি যদি এখানে পুরো কাহানিটাই বলে দেই, তাহলে পড়ার আনন্দটাই থাকবে না। পাঠকদের জন্য একটা কথাই বলবো যে,রহস্য উদঘাটনের জন্য পুরো বইটা পড়তে হবে। আসল খুনি কে হতে পারে?ওই বাচ্চা ছেলেটি? আলম সাহেব? লেখক এর স্ত্রী বর্ষা? নাকি কোনো অজ্ঞাত ব্যক্তি? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বইটি পুরোটা পড়তে হবে।

টুইস্টে ভরপুর এবং টানটান উত্তেজনা নিয়ে লিখিত উপন্যাস “নেমেসিস”। এখানে লেখক জায়েদ রহমানের সাথে হুমায়ূন আহমেদের সাদৃশ্য তুলে ধরেছেন। বইটি পড়তে লাগলে শেষ না করা অবধি ছাড়তে ইচ্ছা করবে না। লেখক নাজিম উদ্দিনের মৌলিক থ্রিলার গুলো সত্যিই অসাধারণ। এখনো যারা পড়েননি আমি বলব অবশ্যই তাদের এই বইটি পড়া উচিত।

নেমেসিস PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top