যদি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নক্ষত্রের রাত বইটির পিডিএফ ফাইল খুঁজে থাকেন, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে এই বইটির পিডিএফ ফাইল পেয়ে যাবেন। প্রত্যেকটি পাঠক যাদের স্বাচ্ছন্দে এবং সহজলভ্য ভাবে বই পাঠ করতে পারে তার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বিভিন্ন বইয়ের পিডিএফ ফাইলের কালেকশন রয়েছে।
আপনারা আপনাদের চাহিদা মতো হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর যেকোন বই এর পিডিএফ ফাইল এক ক্লিকের মাধ্যমে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আপনাদের জন্য আজকে এই পোষ্টের নিচে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নক্ষত্রের রাত বইটির পিডিএফ ফাইল দিয়ে দিয়েছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে চলে যাবেন এবং সেখান থেকে এই বইটির পিডিএফ ফাইল পেয়ে যাবেন।
বিদেশে গিয়ে একজন মানুষ তার দেশের প্রতি যে ভালোবাসার অঝোর ধারা বর্ষণ করতে পারে, তা ফুটে উঠেছে এই বইটিতে। তাছাড়া বিদেশে গিয়ে কাছের মানুষের ভালোবাসা এবং দূরের মানুষের ভালোবাসার মধ্যে যে তারতম্য ঘটে সে বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে। চমৎকার এই বইটি আপনাদের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করবে। বইটি শেষ হয়েছে চমৎকার একটি চিঠি দিয়ে। বর্তমানে এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে এই চিঠিটি পড়লে ভালোবাসা কতটা গভীর হতে পারে তা বুঝতে পারবেন।
হুমায়ূন আহমেদ স্যার নক্ষত্রের রাত নামক একটি নাটক পরিচালিত করেছেন। তবে নাটকের সঙ্গে বইয়ের কাহিনী পুরোটাই আলাদা। আপনারা এই বইটি পড়লেও অনেক আবেগে ভেসে যাবেন। বইটি ডাউনলোড করার পূর্বে চলুন এই বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি। নক্ষত্রের রাত বইটি প্রকাশিত হয়েছে মাঝারুল ইসলাম কর্তিক অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে। এ বইটিতে পৃষ্ঠায় রয়েছে অষ্টআশি এবং বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য ধরা হয়েছে 225 টাকা। সমকালীন এই উপন্যাসটি যদি আপনারা পাঠ করেন তাহলে বিভিন্ন দিক আপনাদের কাছে উন্মোচিত হবে।
নক্ষত্রের রাত বইটির রিভিউ
বিয়ের সাত দিনের মাথায় রেবেকা নামের একটি মেয়ে বিদেশে পাড়ি জমায় পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন এর জন্য। প্রথমদিকে পরিবার থেকে অসম্মতি থাকলেও পরবর্তীতে স্বামীর অনুপ্রেরণায় সে বিদেশে যায়। আমেরিকায় পৌছানোর পর এয়ারপোর্টে গিয়ে সেভাবে এখন কি করতে হবে এবং কোথায় যাওয়া যায়। তার এরকম অভিব্যক্তি দেখে এয়ারপোর্টে এক ব্যক্তি এক বাংলাদেশকে টেলিফোন করে জানাই। এই ব্যক্তির নাম পাশা। তিনি এয়ারপোর্টে এসে রেবেকাকে রিসিভ করে এবং তার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
প্রথমদিকে রেবেকার বিদেশের মাটিতে পা রেখে দেশের প্রতি তীব্র ভালোবাসার অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য দেশের প্রতি ভালোবাসা কিছুটা হলেও কমতে থাকে। দেশের প্রতি আবেগ অনুভূতি উচ্চাকাঙ্ক্ষার বেড়াজালে অনেকটাই প্রশমিত হয়ে যায়। রেবেকা তার পিএইচডি ডিগ্রী কমপ্লিট করতে বদ্ধপরিকর। বিদেশের মাটিতে পা রেখে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এর দেশ সম্পর্কিত যে সকল উক্তি বলেন তার সম্পর্কে বইটিতে জানা যায় অনেক কিছু। তাছাড়া বিদেশের মাটিতে আমেরিকান স্ত্রী দেশের প্রতি যে কতটা ভাবপ্রবণ এবং আবেগপ্রবণতা বইটিতে উঠে এসেছে।
তাছাড়া আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে। আর তা হলো পাশা এবং রেবেকার ভেতরের শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা। দুজন একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু রেবেকার দেশে রয়েছে বিবাহিত স্বামী এবং অপরদিকে পাশার রয়েছে পরিবারের দায়িত্ব। উভয় সংকট এর ভেতরে তাদের ভালোবাসার কি পরিপূর্ণতা পাবে না পাবে না তা জানতে হলে আপনাকে পুরো বইটি পড়তে হবে।