বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত অপরাজিত উপন্যাস পিডিএফ আকারে পাওয়া যাচ্ছে। আপনি চাইলেই খুব সহজেই এখান থেকে বইটি পিডিএফ ভার্শন ডাউনলোড করতে পারেন। কিভাবে বইটি ডাউনলোড করবেন তা জানতে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন।
অপরাজিত কাহিনী সংক্ষেপ ও রিভিউ
“অপরাজিত ” বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালীর দ্বিতীয় খন্ড। পথের পাঁচালীর সেই অপুরই যুবক বয়সের গল্প হলো অপরাজিত। একটি ক্ষুদ্র গ্রাম্য বালকের কঠিন থেকে কঠিনতর জীবন সংগ্রামের দিকে ধাবিত হওয়ার গল্প হলো অপরাজিত।
উপন্যাসের শুরুতেই দেখা যায় গ্রামের সেই পল্লী মাতা সর্বজয়া অপুকে নিয়ে চলে গেছে লীলা দের বাড়ি। রায় চৌধুরীর শহরের এই বাড়িটিতে সে রাধুনি হিসেবে কাজ করে আর অপু মায়ের সাথে থেকে পড়াশোনা করে। এক সময় অপুকে নিয়ে সে ফিরে আসে গ্রামে। অপুর বাবার মত অপুও পূঁজা করে।
একসময় খুব ভালভাবে মেট্রিকুলেশন পাস করার পর অপু মাতাকে রেখে কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হয়। টিউশন করে অনেক কষ্টে পড়াশোনা চলতে থাকে অপুর। গ্রামে মায়ের জন্য কিছু কিছু টাকা পাঠায় সে।
একবার ঝোকের বসে সে আর তার এক বন্ধু জাহাজের খালাসী হয়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে চায়। এভাবেই চলতে থাকে জীবন। তার শিক্ষা জীবনে সে নানা জায়গায় নানা কিছু শিখতে থাকে, একা এই সংগ্রামের জীবনে কখনো কখনো পেট ভরে খাবার টুকুও পায়না।
মেস বাড়িতে বহু কষ্টে দিন পার করতে হয় কখনও সেই ছায়াটুকুও হারিয়ে যায়। কিশোর থেকে এক অপুর্ব সুদর্শন যুবকে পরিণত হয় অপু। শহরের জীবনের চেয়ে তার চির পরিচিত নিশ্চিন্তপুর তার কাছে বেশি মায়া ময় মনে হয়। তবু জীবনের তাগিদে চলতে হয়।
একলা জননী অপুর পথের পানে চেয়ে থাকে। হটাৎ একদিন মারা যায় সর্বজয়া। কঠিন স্নেহহীন এই পৃথিবীতে একা হয়ে পড়ে অপুর্ব। তবে তার সেই শৈববের পরিচিতা বন্ধুটি লীলা ছিল তার একমাত্র ভাল লাগার স্থান। লীলা তাকে মনে মনে ভালবাসত হয়ত, হয়ত অপুর্বও সেইরুপ মনে মনে ভালবাসত।
একসময় বিয়ে হয়ে যায় লীলার। দুরে সরে যায় লীল। একলা জীবন চলতে থাকে অপুর্বর। এদিকে অপূর্ব তার বন্ধু প্রণবের বোনের বিয়েতে বন্ধুর গ্রামে আসে। কোন এক কারণে বিয়ে ভেঙে যায় প্রণবের বোনের।
সেই রাতেই সকলে মিলে অপুর্বর সাথে বিয়ে হয়ে যায় প্রণবের বোন শ্রীমতী অপর্ণা দেবীর। জীবনের প্রথম কোন মেয়ের এইরুপ সান্নিধ্যে এসে এক অভূতপূর্ব আবেশে ভরে ওঠে অপুর জীবন। এত কষ্টের মধ্যেও কলিকাতার সেই একরুপ বিশিষ্ট ঘুরচি ঘরে যেন তার সুখের বন্যা বয়ে যেতে থাকে।
অপুর্ব আর্থিক টানা পোড়নের কারণে কলকাতা ছেড়ে অপর্ণা কে রেখে যায় তার সেই নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। ছুটি পেত না বললেই চলে সেই চাকরিতে, তবু বার বার সেই প্রিয় বধুটির কাছে আসতে চায় অপূর্ব। তারপর সন্তান সম্ভবা হলে অপুর্ব তার বউকে বাবার বাড়ি রেখে যায়।
বিদায় বেলা সে জানত না তার প্রিয়তমা বধুটির সাথে এই তার শেষ দেখা। ফিরে আসে সে কলকাতায়। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় অপর্ণার। অপুর্ব এই সংবাদে মুষড়ে পড়ে, নিজের ছেলেকে একটি বার দেখার ইচ্ছে করে না তার যেন তার কাছের মানুষটির মৃত্যুর জন্য দায়ী এই শিশুটি।
এরই মাঝে লীলার সাথে দেখা হয় তার। জীবন যুদ্ধে হতাশ ও স্বামী কর্তীক নিগৃহীত লীলা বিষ খেতে আত্মহত্যা করে। যাযাবরের মত জীবন চলতে থাকে অপুর। সেই গ্রাম্য সরল ছেলেটির জীবনের এত উথান পতনেও কোথায় যেন একটা ভাঙা সুর চলতে থাকে।
সে সুরে কোন অর্থ নেই। আছে শুধু বিরামহীন সুর। অপুর্ব এক জমিদারের জমি বিলিদার হয়ে চলে যায়, একসময় সেখান থেকে ফিরে এখানে সেখানে ফিরতে থাকে। অবশেষে কি মনে করে নিজের ছেলেকে দেখতে আসে।
ছেলেকে দেখে তার প্রিয়তমার মুখের আদল মনে পড়ে যায়। ছেলেকে নিয়ে চলে আসে কলকাতা। মা হারা এক শিশু আর সর্বহারা এক পিতা মিলিত হয়। তার পুত্র কাজল কে নিয়ে সে চলে আসে তার নাড়ি টানের গ্রামে। সে আবার বাড়ি থেকে বাইরে চলে যায়, তার অপরাজিত জীবনের অকুল স্রোতে।
জীবনের এত বেসুরে গানের শেষেও একাকী হার না মানা এক যোদ্ধা অপু। আর কাজল যেন চব্বিশ বছর পরে অপু হয়েই ফিরে আসে সেই নিশ্চিন্দি পুর গ্রামে।
অপরাজিত পিডিএফ ডাউনলোড
পিডিএফ ফাইলটি গুগল ড্রাইভে আপলোড করা হয়েছে। গুগল ড্রাইভের লিংক এখানে শেয়ার করা হলো। আপনি এক ক্লিকেই অপরাজিত বইটির পিডিএফ ফাইল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। এ জন্য নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন।
এরকম আরো উপন্যাস এবং গল্প-প্রবন্ধ ডাউনলোডের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। এখানে সকল ধরনের বই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
আমাদের আয়োজন আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানাতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।