পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গল PDF Download প্রীতম বসু

পশ্চিম বাংলার একজন জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক এই ‘প্রীতম বসু’। বছর খানেক আগেও তাঁকে এই বাংলার কেউ না চিনলেও রিসেন্টলি অনেকেই চিনে তাকে। তাঁর সর্বাধিক জনপ্রিয় ঐতিহাসিক থ্রিলার ‘পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গল’ বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর পশ্চিম বাংলায় সারা ফেললেও বাংলাদেশি থ্রিলার পাঠকদের হাতে এসে পৌঁছাতে একটু সময় লেগেছে। যাই হোক, এই অসাধারণ আর জনপ্রিয় বইটা যারা এখনো পড়েন নি তারা আর নিজেদের বঞ্চিত না রেখে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অনায়াসে।

কাহিনী সংক্ষেপ

সাদামাটা একটা গ্রাম পাঁচমুড়ো। এই গ্রামের মানুষগুলোও যেমন সাদামাটা। তেমনি গ্রামের পরিবাশটাও আহামরি কিছু না। তাদের এই সাদা মাটা গ্রামে হঠাত করে কিছু অসাধারণ ব্যাপার ঘটলো। চয়নবিল থেকে পুরনো দিনের পাথর খন্ড উদ্ধার হলো। যেমন তেমন পাথর নয় এগুলো, সেই ১৪০০ সালের কথ্য বাংলা ভাষায় লেখা যে, পঞ্চাননমঙ্গল কাব্য!

একে কি সাধারন বলা যায়? এই পাথরেই লুকিয়ে আছে শতবর্ষী বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। এই পুথিকে ঘিরে রহস্য জট বাধতে শুরু করে। গ্রামের জমিদার সদানন্দ ভটচায এই পাথরের মালিক। উনি একজন পুথিবীদ। গ্রামের একজন সাধারণ চরিত্র কালাচাঁদ। ধূর্ত শেয়ালের মত কাজ আদায় করা যার কাজ। চোর হিসেবেই পরিচিত যদিও সে। কিন্তু মনটা অতটাও খারাপ না।

যাই হোক, এই পুথির সন্ধ্যানে হাজির হয় অংশুমান ধারা। আরব থেকে হাজির হয় এক শেখ। বলা চলে একজন মাথা খারাপ, ধনী আর খুনি!
সাথে চলে পুথি হাতানোর খেলা। কে অর্জন করবে এই মহামূল্যবান পুঁথি? আর কেনইবা মাত্র এই একটা পুঁথির জন্য একেবারে আরবের শেখ এসে হাজির? তাও একেবারে রাতারাতি! এসব রহস্যের কূলকিনারা করতে হলে, আর পুঁথিটার ব্যাপারে জানতে হলে পড়ে ফেলতে হবে এই ‘পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গল’।

একটু চিন্তা করুন তো ভিঞ্চি কোড যদি দেশীয় সাহিত্যের উপর হতো কেমন হতো? কী ভাবতে পারছেন না?
তাহলে আপনি এই বইটা পড়ুন। বইটার নাম যদিও কিছুটা দাঁত ভাঙা টাইপের কিন্তু বইটা একেবারে মন জয় করে নেওয়ার মত।

আমাদের বাংলা সাহিত্য আসলে অনেক বছর আগের। বঙ্কিম থেকেই না শুধু!

হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যের নানা দিকপাল জানতে পারবেন এই বই থেকে। বাংলা সাহিত্য কত রিচ সেটা এই বই না পড়লে বুঝতে পারবেন না। কিন্তু আমাদের কপাল পোড়া তাই নিজেদের ইতিহাস জানার কোন কিছু আমাদের হাতে নেই। যুগে যুগে শাসকরা এসে ধ্বংস করেছে আমাদের সাহিত্য। যা ছিল তা নিয়ে গেছে নিজেদের মিউজিয়ামে সাজিয়ে রেখে নিজেদের নাম বসানোর জন্য!
আমাদের বিশাল নালন্দা লাইব্রেরি পুড়িয়ে দেয় বখতিয়ার খলজি। শুধু কী নালন্দা? আরও কতজন কত ক্ষতি করে আমাদের তার কোনো ধারনা কি আছে?!

এই বইয়ে যে শুধু পুঁথি আর ওসব একঘেয়ে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছেন তা কিন্তু না। বইয়ে আছে অনেক গনীতের বিষয়াবলি! এমন অনেক বিষয় আছে যা আগে হয়তো শুনেন নাই!

বইটা পড়েই বুঝা যায় লেখক কি পরিমান কষ্ট করেছেন এই বই লিখতে।

চরিত্র বিশ্লেষণঃ বইটির চরিত্রায়ন যথেষ্ট নজরকারা। সদানন্দ ভটচাজ,কালাচাঁদ,হরু ঠাকুর, আর চন্দ্রবদন যেন চারমূর্তি। নিজেদের ইতিহাস রক্ষায় সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে লাগে। অপরদিকে অংশুমান ধাড়ার মত শকুন ওৎ পেতে থাকে কখন কিছু টাকার বিনিময়ে ইতিহাস বিক্রি করবে।
বইটা আসলে শুরুই হয় এই চরিত্রের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে। ফলে একটু ধাতস্ত হতে কিছু সময় লাগবে। কিন্তু একবার মজে গেলে এ বই আর হাত থেকে রাখা যাবে না।

সবশেষে বলবো, এই বইটা মাস্টরিড। অনেক অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top