শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: কঙ্কাল ঘর PDF Download মোশতাক আহমেদ

মোশতাক আহমেদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় স্বনামধন্য লেখক। তিনি তাঁর রচনার মাধ্যমে বাংলায় প্রতিটি পাঠকের ঘরে ঘরে একটি আলাদা স্থান করে নিয়েছেন। তার লেখার কৌশল দিয়ে তিনি পাঠকদের মুগ্ধ করেছেন। তার লেখাগুলো এতটাই মর্মস্পর্শী হয় যে যেকোনো পাঠকরাই সাদরে গ্রহণ করে তার লেখা। তার বইগুলো দিয়ে যেমন মনের খোরাক পূরণ হয় তেমনি অনেক অজানা রহস্য উদঘাটন হয়। অনেক বাস্তব ঘটনা লেখক তার কল্পনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন তাঁর উপন্যাসে। তার অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: কঙ্কাল ঘর” অন্যতম।

মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তার বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ দেখা যেত। আর সেখান থেকেই মূলত লেখালেখির প্রতি আগ্রহ জন্মে। তিনি যেমন ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নিয়েও খুবই জনপ্রিয়।

শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা কঙ্কাল ঘর মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক, থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2017 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে কথা প্রকাশনী। বইটির প্রকাশক হল জসীমউদ্দীন। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 144 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 150 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

লেখক মোশতাক আহমেদের লেখা গুলো বরাবরই পাঠকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি তার সাহিত্য কর্মের মধ্যে সাইন্স ফিকশন, ভৌতিক, গোয়েন্দা, সাইকোলজিকাল উপন্যাস লিখেছেন। তিনি তার কর্মের ফল স্বরূপ অনেক সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি খুব অল্পসময়ের মধ্যেই পাঠকদের মনে আলাদা একটি স্থান করে নিয়েছেন।

এই উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র হলো লেলিন। লেলিন তার বন্ধু রাশেদের মামাবাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে দারুন এক রহস্যের সন্ধান পায় সে। সে যে করেই হোক এই রহস্যের সমাধান করবেই। এক মৃত ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে তারা দেখতে পায় সেই লাশের কোন হাড় নেই। কিন্তু অদ্ভুত রকমের ঘটনা কেন ঘটলো সেই বিষয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারছিল না।

এই বিষয়ে লেলিন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এরকম ঘটনা আরো ঘটেছে। সে রহস্যের গভীরে প্রবেশ করতে গিয়ে নিজেই বুঝতে পারে না যে কত বড় ভয়ঙ্কর বেড়াজালে জড়িয়ে যাচ্ছে। একসময় এসে কঙ্কাল ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে যায়। সে ওই কঙ্কাল ঘরের বিভীষিকাময় জীবননাশী ড্রামে আটকা পড়ে। ‌পরবর্তীতে লেলিন বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। সে কিছুতেই বুঝতে পারেনা এখান থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরবে। তার বন্ধু শিশির জানে না যে এখানে সে আটকা পড়েছে।

একসময় লেনিন বুঝতে পারে তার মৃত্যু আসন্ন। কারণ গ্রামের পানি ফুটতে শুরু করেছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পানির বাষ্প ও তার শরীরে প্রবেশ‌ করবে। প্রথমে গলে যাবে তার চোখ শেষে চামড়া আর মাংস। ভয়ঙ্কর যন্ত্রণাময় মৃত্যু হবে তার। তারপরে তার মৃত্যুর পরে হারগুলো থেকে মাংস গুলো আলাদা করবে সেই ভয়ঙ্কর চক্র। তারপর থেকে ওই মানুষগুলোর মতই কবর দেয়া হবে।

শেষ পর্যন্ত লেলিন কী সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারবে? আর কী বা পরিণত হয়েছিল সেই ভয়ঙ্কর চক্রটির? শিশির কী খুঁজে পেয়েছিল তার বন্ধুকে? প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আপনাদের বইটা একবার হলেও পড়ে দেখতে হবে। ভয়ঙ্কর ও রহস্যময় গল্প যদি আপনারা এখনো না পরে থাকেন, তাহলে একবার হলেও পড়ে দেখবেন। আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top