দ্য পারফেক্ট মার্ডার PDF Download পিটার জেমস

থ্রিলার জগতে পিটার জেমস খুব পরিচিত একটি নাম। তাঁর মার্ডার মিস্ট্রি, ক্রাইম থ্রিলার, এসবের জন্য বরাবরই বিখ্যাত লেখক পিটার জেমস। খুব ভালো একটা অবস্থানে আছেন তিনি। আরও অনেক সেরা কাজের মতো পিটার জেমস এর একটি সেরা কাজ হলো এই ‘দ্যা পারফেক্ট মার্ডার’। নাম শুনেই বুঝা যায় বইটা কোন জনরার, কি ধরনের বই। বইটি মূলত মিস্ট্রি থ্রিলার। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ভূমি প্রকাশ থেকে।
কলেবরে খুব একটা বড় নয় বইটি। মাত্র ৯৫ পৃষ্ঠার একটা বই। কিন্তু বইটি ইতিমধ্যেই বেস্ট সেলারের তালিকায় চলে এসেছে! পিটার জেমস কেও বেস্টসেলার লেখক হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। যাই হোক, যারা ছোট্ট এই অসাধারণ বইটি থেকে এখনো নিজেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন তারা দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে পড়তে পারেন। পড়া উচিত!
কাহিনী সংক্ষেপ
প্রেম করে বিয়ে করেন ভিক্টর আর জোয়ান। দু’জনেই যৌবনে আকর্ষণীয় ছিলেন। ভিক্টরের কাছে জোয়ানকে যেমন মনে হয়েছিল সবচে আবেদনময়ী নারী। সে ভেবেছিল বার্ধক্যের সময়ও জোয়ান এরকমই আবেদনময়ী থাকবে। ঠিক তেমনই জোয়ানের কাছেও ভিক্টরকে বেশ সুদর্শন পুরুষ বলে মনে হয়েছিল। সে ভেবেছিল ভিক্টর ভবিষ্যতে একজন উচ্চবিত্ত সফল ব্যবসায়ী হবে। এবং তাকে সুখী রাখবে।
তাদের সন্তান হবে। কিন্তু সময় সব বদলে দেয়। ভাগ্যও সাথ দেয় না। তাদের এক্সপেকটেশন কিংবা চাহিদা অনুযায়ী কিছুই হয়নি। বিয়ের পর কয়েকবছর পর্যন্ত তাদের কোনো সন্তান না হলে একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে তারা। এবং সাধারণ খুটিনাটি বিষয় নিয়েও দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কোলাহল আর কি!
এমনকি তাদের শারীরিক পরিবর্তনও হয়। দু’জনেই হঠাৎ মুটিয়ে যায়। এই দম্পতির সাথে কারোরই বনে না। সবার সাথেই ঝগড়া লেগে যায়। শুধু টেড ও মেজ দম্পতির সাথে কিছুটা বন্ধুত্ব রয়েছে তাদের। ঐ দম্পতিরও খুব একটা বন্ধুবান্ধব নেই, দুইয়ে দুইয়ে চার! এভাবেই একজন আরেকজনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে গেলে দু’জনেই পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। ভিক্টর যৌনপল্লিতে গিয়ে ক্যামিলা নামের এক পতিতা মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। আর জোয়ানের সাথে ট্যাক্সি ড্রাইভার ডনের সখ্যতা গড়ে ওঠে।
ভিক্টর এবং জোয়ান দু’জনেই তাদের নতুন সঙ্গীকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চায়। এবং একে অপরের মৃত্যু কামনা করে থাকে। শুধু কামনা পর্যন্তই থেমে থাকে না। সাথে মার্ডারের প্ল্যানিংও করে! পারফেক্ট মার্ডার! কিন্তু কেন শুধু শুধু মারবে। ডিভোর্সেই তো কাজ হয়ে যায়। এতো ঝামেলার কি প্রয়োজন? সব কিছু এই ছোট্ট বইটা’তেই লুকিয়ে আছে। তো, শেষে কে কাকে মারতে পারে? কিংবা আদৌ মারতে পারে কি-না! না-কি দু’জনেই মারা যায়? আর মারতে পারলে কেমন হয় তাদের পারফেক্ট মার্ডার! অনেক প্রশ্ন! আর সে সবের উত্তর জানতে হলে আপনাকে বইটি পড়তে হবে।
বইটি আসলে তেমন আহামরি কিছু না কিন্তু পড়তে গিয়ে একবারের জন্যও বিরক্তবোধ আসে নি! কাহিনী দ্রুতই সামনে এগিয়ে গেছে। খুব স্মুথ ভাবেই গেছে। পরিক্ষার জন্য ছোট বইগুলো পড়ছি। যারা আমার মতো অবস্থায় আছেন তারা কিন্তু বইটা মিস করবেন না। রিডিং ব্লকে থাকলেও বইটি তা কাটিয়ে দিতেও সাহায্য করতে পারে।
এবার একটু অনুবাদ নিয়ে বলি। বইটির অনুবাদক হলো রাফায়েত রহমান রাতুল। এর আগে তার অনুবাদের কোনো বই আমি পড়িনি। এই প্রথম অনুবাদটা পড়েই আমি তার এক প্রকার ভক্ত হয়ে যায়!
আর ঐ যে বললাম বইটা আহামরি কিছু না হলেও বেশ ভালো লেগেছে, এর কারন সুন্দর গুছালো অনুবাদ।
সুতরাং শেষে একটা কথাই বলবো, যারা একটু রিডার্স ব্লকে আছেন, কিংবা ছোট সুন্দর কোনো বই পড়তে চান তাদের জন্য অবশ্যই সুখ পাঠ্য একটা বই এটি। দেরি না করে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি।