বাংলাদেশের বিখ্যাত লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের শ্রেষ্ঠ একটি উপন্যাস হলো “থৃলার গল্প সংকলন”। নাজিম উদ্দিন বাংলাদেশের সব পাঠকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন তার বিখ্যাত সব থৃলার রচনার জন্য। তার রচনা গুলো সবার কাছে ভালো লাগে কারণ তিনি তার লেখায় সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করেন। এই উপন্যাসটি ও তার ব্যতিক্রম নয়। উপন্যাসটির হার্ডকপি যারা এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে নিয়ে পড়তে পারেন।
“থৃলার গল্প সংকলন” নাজিম উদ্দিনের বিখ্যাত একটি উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2013 সালে ফেব্রুয়ারি মাসের বইমেলাতে। বইটির প্রচ্ছদ লিখেছেন ডিলান। বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 190 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 154 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ
“থৃলার গল্প সংকলন” এই বইয়ে মূলত 9 টি মৌলিক গল্প আছে এবং 4 টি অনুবাদ থৃলার গল্প আছে। বইটি নাজিম উদ্দিনের এক অনন্য সৃষ্টি। বইটির প্রথম গল্প হল:
মোরি:
উপন্যাসটির মূল লেখক হল জোনাথান নোলান। উপন্যাসটি মূলত একটা মুভি থেকে লেখা। উপন্যাসটিতে আমরা দেখতে পাই একজন short time মেমোরি হারানো লোকের স্ত্রীর হত্যাকারীকে খোঁজার গল্প। প্রথমবার গল্পটি পড়ে তেমন একটা বুঝা যাবে না সেজন্য গল্পটি বার বার করতে হবে।
লটারি:
এটি এই সংকলনের সবচেয়ে সেরা গল্প। এখানে মূলত লেখক মানুষের কিছু আদিম রিপু কে তুলে ধরেছেন। মানুষের মনের মধ্যে যে কত রকমের লোভ বাস করে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এখানে একটি টিকিটের লটারিকে ধরে মানুষের অদম্য লোভকে এখানে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।
ফলিং ক্রিস মুনি:
এটি মূলত একটি স্পাই থৃলার। এখানে একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান আর একজন এফবিআই এর মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টের মানুষের ভিতরে একটি খেলা নিয়ে লেখা হয়েছে।
স্বদেহভোগী:
গল্পটি মূলত শুরু হয়েছে একটা হত্যার রহস্য কে কেন্দ্র করে। গল্পটি আমার মনে হয় সব পাঠকদেরই ভালো লাগবে। গল্পটির মধ্যে অনেক টুইস্ট আছে।
আবার ফিরে আসে:
এই সংকলনের আরো একটি অন্যতম বই হচ্ছে এটি। এখানে এক নামকরা তারকা কে ঘিরে যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল সেটির কথাই গল্পটি লেখক এখানে তুলে ধরেছেন।
শোধ:
গল্পটির মূল লেখক হল শরিফুল ইসলাম। এখানে আজাহার আলী নামে একজন লোক তারএকটি সমস্যা নিয়ে দুই বছর ধরে চিন্তা করছিলেন। অনেক চিন্তার পর আজকে তার সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। এই গল্পের বিস্তারিত জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
দ্য ফেইস ইন দি উইন্ডো:
এই গল্পটি মূলত একজন কিলার কে নিয়ে। সেই কিলার নাম হল রবিন জামান। এক ঝড়ের রাতে রবিন জামান জেল থেকে পালিয়ে যায়। তার পরে যা ঘটে সেই গল্প নিয়েই বইটি রচিত।
দ্য আবেলার্ড স্যাংশন :
এই গল্পটি ও অসাধারণ। এখানে লেখক এক দম্পতির কথা বলেছেন। সেই দম্পতির নাম হল সল ও এরিকা। এরিকা একজনকে খুন করতে চায় কিন্তু সল তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। বিস্তারিত জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
সুইসাইড:
মিস্টার হাসান নামে একজন লোক জগিং করতে যান সকালবেলা। একদিন জগিং করার সময় এক যুবককে আত্মহত্যা করতে দেখতে পান। তিনি তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কি আটকাতে পেরেছিলেন ওই যুবককে? জানতে হলে বইটি শেষ করতে হবে।
হিরু:
এই গল্পের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি পাঠকরা এই বইটি পড়ে অনেক মজা পাবেন। এখানে যে চরিত্র আমরা দেখতে পাবো তার নাম বাবু। সে একজন সন্ত্রাসী। তার জীবনের কিছু গল্প এখানে লেখক তুলে ধরেছেন।
পুনর্জাগরণ:
এই গল্পে আমরা মানুষের মানবিক দিকগুলো দেখতে পাবো। এখানে ইলিয়াস মিয়া মারা যাওয়ার 5 দিন পরে সশরীরে তার গ্রামে হাজির হন। সেটা দেখেই তার গ্রামে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। গল্পটিতে অনেক হাসির কথা বলেছেন লেখক শুধুমাত্র পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য।
মমতাময়ী:
এই গল্পের সাথে আমাদের বর্তমান ভার্চুয়াল জীবনে অনেকটাই মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এটি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত বই। গল্পটি সবারি অনেক ভালো লাগবে কেউ শেষ না করে উঠতেই চাইবেন না। এটি এই সংকলনের সবথেকে সেরা গল্প।
নির্বাণ:
এই গল্পটি ও একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা। পাঠকরা প্রথমে তেমন কিছু বুঝতে পারবেন না কিন্তু পরে পড়তে লাগলেন এমন অনেক কিছুই ভালো লাগবে যেটা আপনাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে।
এটি নিঃসন্দেহে ভালো লাগার মত একটি উপন্যাস। যারা থৃলার বই পড়তে পছন্দ করেন তারা এই বইটি মিস করবেন না। বইটিতে ভালো লাগার মত অনেক গল্প আছে। তাই আর দেরি না করে বইটি ডাউনলোড দিয়ে পড়ে ফেলুন।